আজ রাতে গাজার মাটি কেঁপে উঠবে: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
'আজ রাতে গাজার মাটি কেঁপে উঠবে' ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল কান ১১-কে বলেন ইয়োভ গ্যালান্ট।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমরা গাজায় মাটির ওপর ও নিচে হামলা করেছি। আমরা সব জায়গায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা করেছি। বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা স্পষ্ট: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।'
গতকাল রাতেও 'গাজাকে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে' বিরামহীন বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল। এখনো গাজায় পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট চলছে।
আজ শনিবার বিবিসির টুডে প্রোগ্রামে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রেগেভকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'ব্রিটিশ ও মার্কিন সেনাবাহিনী সামরিক অভিযানকালে প্রায়ই শত্রুদের যোগাযোগ ব্যাহত করতে এ ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকে।'
ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কি না, সরাসরি জানতে চাইলে মার্ক রেগেভ বলেন, 'আমি তা বলিনি। আমি শুধু বলেছি যে- এটি পশ্চিমা ও গণতান্ত্রিক সেনাবাহিনীর স্বাভাবিক একটি অভ্যাস।'
গাজায় যোগাযোগ বিপর্যয় কেন ঘটেছে তা জানতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পূর্ণাঙ্গ ব্রিফের অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গত তিন সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য বারবার আলোচনা করেও সফল হতে পারেনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। উপর্যুপরি ব্যর্থতার পর আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় মানবিক যু্দ্ধবিরতির জন্য আনা প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়।
গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এই প্রস্তাব অবিলম্বে কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন হামাস কর্মকর্তা গাজী হামাদ।
লেবাননের বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা এই সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনি জনগণের একটি বিজয় বলে মনে করি এবং মিশরে অপেক্ষমাণ সব ত্রাণ দ্রুত গাজার সব এলাকা ও হাসপাতালে পাঠানোর দাবি জানাই।'
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলকে 'যুদ্ধাপরাধী' ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কূটনীতিকদের ইস্তাম্বুল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন।
Comments