ইসরায়েলি পাল্টা হামলার মাত্রা কতখানি হতে পারে এবং পরবর্তীতে আরও বিস্তৃত আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ‘ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে’ সেনা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা বাবাক মাহমুদি ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ত্রাণ হিসেবে মূলত জরুরি ওষুধ পাঠানো হয়েছে।
ইরানের রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক পির হোসেন কোলিভান্দ জানান, এই হামলায় হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সামরিক স্থাপনা ও অধিকৃত গোলাম মালভূমিতে তিন দফা ড্রোন হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে ইরাকী সংগঠনটি।
এই যুদ্ধের আশঙ্কা বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে, যা বিপাকে ফেলবে বিশ্ব অর্থনীতিকে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে খামেনি বলেন, ‘আমাদের শত্রু বিভাজন ও রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করার কৌশল হাতে নিয়েছে। তারা চায় মুসলমানরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ুক। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকি...
গত সপ্তাহে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ’র মৃত্যুর পর এটাই ইরানের কোনো শীর্ষ নেতার প্রথম লেবানন সফর।
ইসরায়েলের দাবি, সিরিয়া থেকে অস্ত্র পাচারের কাজে এই সড়ক ব্যবহার করে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। সংগঠনটিকে সিরিয়ার মিত্র বলেও অভিহিত করেছে দেশটি।
এই চুক্তির আওতায় আগামী ১০ বছর কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাবে নয়াদিল্লি।
ইরানে পরমাণু কর্মসূচির শুরু হয় ১৯৫০ এর দশকে
থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ব্যাখ্যা, ‘ইসরায়েলের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি বন্ধ করা। ইরান যাতে সামরিক অবকাঠামো তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত করা।'
ভূরাজনীতি বিষয়ক পডকাস্টের সঞ্চালক ও শিক্ষাবিদ শাইএল বেন-এফরাইম জানান, বেন গির ‘ইসরায়েলি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং একইসঙ্গে একে হাস্যকর বানিয়েছেন।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক হামলা-পাল্টা হামলায় দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান ছায়া যুদ্ধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে এবং এতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা নেমে আসতে পারে।
ইসরায়েলের পাল্টা হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে বড় সংঘাতের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যম ইরানে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সিএনএন এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা হামলার লক্ষ্য ছিল না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি শহরে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের ভূমিকা কী হবে? ইরানের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা কী হবে? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেন—হোয়াইট হাউসের ভূমিকা নিয়ে।
ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব আগামী সোমবার সন্ধ্যা (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।