ইরানে পাল্টা হামলার লক্ষ্য শুধু সামরিক স্থাপনা: নেতানিয়াহু

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইরানকে 'অভিশাপ' বলে অভিহিত করেন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইরানকে 'অভিশাপ' বলে অভিহিত করেন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল শুধু ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালাবে। পারমাণবিক বা তেল সংক্রান্ত কোনো কাঠামোতে হামলা না চালানোর অঙ্গীকার করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন দুই কর্মকর্তাকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর বুধবার প্রায় দুই মাস পর ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নেতানিয়াহু। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন মতে, এই ফোন কলেই নেতানিয়াহু জানান, তিনি ইরানের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন।

এই প্রতিবেদন বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও হোয়াইট হাউস, উভয়ই কোনো মন্তব্য করেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আজ সকালে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমলে নেয়। তবে তারা জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরান অভিমুখে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে হামলা চালায়। বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে ইসরায়েল এবং এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। এই হামলার পর নেতানিয়াহু কড়া জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

সে সময় থেকে ইসরায়েলি পাল্টা হামলার মাত্রা কতখানি হতে পারে এবং পরবর্তীতে আরও বিস্তৃত আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।

সূত্ররা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, নেতানিয়াহু বুঝতে পেরেছেন যে ইরানের বিপক্ষে তার নেওয়া পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

তাকে মাথায় রাখতে হবে, ইরানের বিপক্ষে নেওয়া সামরিক উদ্যোগ যেন 'যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ' হিসেবে বিবেচিত না হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টার্মিনাল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি) সিস্টেম। ছবি: নির্মাতা লকহিড মার্টিনের ওয়েবসাইট
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টার্মিনাল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি) সিস্টেম। ছবি: নির্মাতা লকহিড মার্টিনের ওয়েবসাইট

কর্মকর্তারা জানান, এ কারণে নেতানিয়াহু 'মধ্যম মাত্রার' হামলায় রাজি হয়েছেন। শুরুতে তিনি পারমাণবিক স্থাপনা ও তেল পরিশোধনাগারে হামলার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেছিলেন।

এবং নেতানিয়াহু নমনীয় হওয়ার কারণেই বাইডেন ইসরায়েলে একটি শক্তিশালী আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (থাড) ও এর পরিচালনার জন্য ১০০ মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি হয়েছেন। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

১ অক্টোবর ইরানের হামলার পর বাইডেন প্রকাশ্যে জানান তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট কোনো স্থাপনার ওপর হামলাকে সমর্থন করেন না।

 

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago