গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়
তবে শিল্পাঞ্চলের কোথাও আজ কোনো সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেনি
সেইসঙ্গে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকরা।
সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে এসে দেখেন মেরামতের জন্য কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
‘আজ শিল্পাঞ্চলে কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ নেই ও শ্রমিকরা রাস্তায় নামেননি।’
বিক্ষোভকারীদের একজন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আন্দোলনের সময় পুলিশ মানুষকে গুলি করেছে, ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের ওপর মানুষের ক্ষোভ আগে থেকেই ছিল।’
পরিদর্শক ওই নেতাকে প্রশ্ন না করার অনুরোধ জানান।
আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মডিনাপেল ফ্যাশন ক্রাফট লি. কারখানাটি গতকাল বুধবার থেকে বন্ধ আছে। কারখানার ফটকে অভিযুক্ত শ্রমিকদের নামের তালিকা টাঙানো হয়েছে।
এ ছাড়া, বেশ কয়েকটি কারখানায় কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।
‘তারা আলমারিতে থাকা নগদ ৩০ লাখ টাকা এবং ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে চলে যায়।’
মশাল মিছিলে সাভার থানা, সাভার পৌর ও আশুলিয়া থানা যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এই মামলাগুলোর মধ্যে কেবল ১টি মামলায় মোট ১৬ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সময় পুলিশের আচরণ ছিল মারমুখী। বিপরীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় শ্রমিকদের।
শ্রমিক আন্দোলনের সময় কারখানা ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগে অজ্ঞাত শ্রমিক ও উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে।
সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন।
আমিরুল হক আমিন বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার ৩৯০ টাকার দাবিতে বিক্ষোভ করছে কয়েকটি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক।
ভোর ৬টা থেকে চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমিনবাজার ও আশুলিয়ায় পুলিশের চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আরেকটি চেকপোস্ট পরিচালনা করছেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা।