আশুলিয়ায় বহিরাগতদের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত ৩০

আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। ছবি: স্টার

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় বহিরাগতদের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পথচারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহত শ্রমিকরা জানান, কারখানা ছুটি দেওয়ায় তারা কারখানার সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় বহিরাগত শতাধিক মানুষ লাঠি হাতে তাদের ওপর হামলা করে।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লাঠিসোটার আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে।'

সরেজমিনে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারখানার নিরাপত্তার জন্য কিছু কিছু কারখানার সামনে শ্রমিকরা বসে আছেন। কোথাও দাবি আদায়ে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তবে গতকাল যেসব কারখানা বন্ধ ছিল, আজ সেগুলোর অধিকাংশেই কাজ চলছে।

নরসিংহপুর এলাকার সারমিন গ্রুপের কারখানাগুলো গতকাল সকালে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ সারমিন গ্রুপের কারখানায় উৎপাদন চলছে। 

সকাল ১১টার দিকে সারমিন গ্রুপের সামনে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন যুবক লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। পাশেই পুলিশ সদস্যরা বসা।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক নিজেকে সারমিন গ্রুপের স্টাফ দাবি করে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কারখানার নিরাপত্তায় সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছি, কারণ অন্য কারখানার শ্রমিক ও চাকরি প্রত্যাশীর নামে বহিরাগতরা কারখানায় হামলা করে।'

এদিকে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইপিক গ্রুপের শ্রমিকরা আজও সড়ক অবরোধ করেছেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার সামনেও বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন চলছে। শুধু নিউএজসহ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করায় ছুটি দিয়েছে।'

আজ শিল্পাঞ্চলে কতগুলো কারখানা বন্ধ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অনেক কারখানা অর্থনৈতিক সংকট ও বিভিন্ন কারণেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। সেই কারখানাগুলো এখনো খুলতে পারেনি। সব মিলিয়ে ১০০ কারখানা বন্ধ আছে।'

আজ অভিযানে কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, 'কারখানায় হামলার সময় শ্রমিকদের সহযোগিতায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Students suffer as NCTB fails to deliver books

Only 37% of 40.15cr textbooks distributed till first half of Jan

11h ago