চেন্নাইয়ের মাঠে সবার উপরে বাংলাদেশের রফিক!
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাত্র একটাই ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। তাও সেটা ২৫ বছর আগে। বর্তমান দলের অনেকের তখন জন্মই হয়নি! সেই ম্যাচটাতে কেনিয়ার কাছে হেরেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে একটা জায়গায় এই মাঠে বাংলাদেশের একজন আছেন সবার উপরে। চেন্নাইতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট যে মোহাম্মদ রফিকের!
অবাক লাগতে পারে স্রেফ একটা ম্যাচ খেলেই রফিক কীভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হলেন! আসলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ খেললেও এই মাঠে রফিক খেলেছেন তিনটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে। বাকি দুটি খেলেছিলেন এশিয়া একাদশের হয়ে, আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে।
২০০৭ সালে আফ্রো-এশিয়া কাপের আয়োজন করা হয়েছিল। মাহেলা জয়াবর্ধনের নেতৃত্বে এশিয়া একাদশে ছিলেন বাংলাদেশের দুই তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা আর রফিক। দ্বিতীয় ম্যাচে রফিক ৬২ রানে ২ আর তৃতীয় ম্যাচে ৬৫ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এর আগে ১৯৯৮ সালে কেনিয়ার কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে রফিকের শিকার ছিল ৪৫ রানে ২ উইকেট।
সব মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে চিদাম্বরম মাঠে রফিকই ওয়ানডেতে উইকেট নেওয়ায় সবার উপরে। ৭ উইকেট করে নিয়ে তার নিচে আছেন ভারতের অজিত আগারকার, হরভজন সিং, কুলদীপ যাদবরা। এই মাঠ যার হোম ভেন্যু, সেই রবীচন্দ্রন অশ্বিন এখানে খেলেছেন ৪ ওয়ানডে। তাতে তার শিকার ৬ উইকেট।
আগারকার ছাড়া বাকি সব নাম দেখেই বুঝতে পারার কথা চেন্নাইয়ের উইকেটের চরিত্র। ঐতিহাসিকভাবেই এখানে প্রভাব বিস্তার করেন স্পিনাররা। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি প্রথম ৪ জনের তিনজনই তাই স্পিনার। তবে এখানে পেসারদেরও ভালো করা, ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার নজির আছে।
আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে রফিক আউট করেছিলেন অ্যালবি মরকেল আর এল্টন চিগাম্বুরাকে। পরের ম্যাচে তিনি পান বড় উইকেট। বাংলাদেশের কিংবদন্তি বাঁহাতি স্পিনারের শিকারের তালিকায় ছিলেন এবিডি ভিলিয়ার্স, ভুসি সিবান্দা, বোয়েটা ডিপেনার আর জাস্টিন কেম্প।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবার বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে সাকিব আল হাসান প্রেরণা পেতে পারেন রফিকের কাছ থেকে। সেমিফাইনালের আশা চওড়া করতে যে কিউইদের হারানোর বিকল্প নেই!
Comments