আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডাচদের কাছে বাংলাদেশের ভীষণ হতাশার হার

নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮৭ রানে হারল বাংলাদেশ।

লাইভ আপডেট

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডাচদের কাছে বাংলাদেশের ভীষণ হতাশার হার

নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮৭ রানে হারল বাংলাদেশ।
ছবি: এএফপি

সামনে ২৩১ রানের সাদামাটা লক্ষ্য। প্রতিপক্ষ আইসিসি সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং হলো ভীষণ বাজে। ব্যর্থতার কষ্টদায়ক নজির স্থাপন করে ইডেন গার্ডেন্সে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হারল সাকিব আল হাসানের দল।

শনিবার কলকাতায় ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৪২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় নেমে কেউই হাল ধরতে পারেননি। এই হারে টাইগারদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ বললেই চলে। আফগানিস্তানকে হারিয়ে আসর শুরুর পর টানা পাঁচ ম্যাচে পরাস্ত হলো তারা।

ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া, ২০ রান করে আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে।

বিশ্বকাপে প্রথমবার এক আসরে দুটি ম্যাচ জিতল নেদারল্যান্ডস। বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান তাদের পেসাররা। বিশেষ করে, পল ফন মিকেরেন ছিলেন অসাধারণ। ২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৪২.২ ওভারে ১৪২ (লিটন ৩, তানজিদ ১৫, মিরাজ ৩৫, শান্ত ৯, সাকিব ৫, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ২০, শেখ মেহেদী ১৭, তাসকিন ১১, মোস্তাফিজ ২০, শরিফুল ০*; আরিয়ান ১/২৬, ফন বিক ১/৩০, অ্যাকারম্যান ১/২৫, ফন মিকেরেন ৪/২৩, ডি লিডি ২/২৫, শারিজ ০/১৩)।

অলআউট বাংলাদেশ

পল ফন মিকেরেনের শর্ট বলে তাসকিন আহমেদ তুললেন ক্যাচ। মিডউইকেটে তা লুফে নিলেন বাস ডি লিডি। অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডস পেল স্মরণীয় জয়। এর আগে এবারের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল তারা।

৩৫ বলে ১১ রান করলেন তাসকিন। শরিফুল অপরাজিত থেকে গেলেন শূন্য রানে।

বোল্ড মোস্তাফিজ

কলিন অ্যাকারম্যানের বলে বোল্ড হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ হারাল নবম উইকেট। ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে মোস্তাফিজের রান ২০।

৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ১৪২। তারা পৌঁছে গেল হারের আরও কাছে। ক্রিজে তাসকিন আহমেদের সঙ্গী হলেন শরিফুল ইসলাম।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে হারের পথে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আশার আলো হয়ে জ্বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি আউট হওয়াতে প্রকৃতপক্ষে দলের হারের ক্ষণ গোনাই শুরু হয়ে গেল। বাস ডি লিডি আক্রমণে ফিরে ভেঙে দিলেন নেদারল্যান্ডসের জয়ের পথের সবচেয়ে বড় বাধার দেয়াল।

পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিলেন মাহমুদউল্লাহ। তা ঝাঁপিয়ে লুফে নিলেন আরিয়ান দত্ত। ৪১ বলে ২০ রান করে থামলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ।

৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১১৪। ক্রিজে আছেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিং পরিবর্তন করে আরও একবার সাফল্য পাওয়া ডাচরা অসাধারণ একটি জয় পাওয়ার খুব কাছে এখন।

১৭ ওভারে ওভারপ্রতি ৬.৮২ গড়ে বাংলাদেশের চাই আরও ১১৭ রান। নেদারল্যান্ডসের চাহিদা মাত্র ২ উইকেটের।

রানআউটে কাটা পড়লেন শেখ মেহেদী

ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ছিল জুটি গড়ার চেষ্টায়। তাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণও ছিল সেটা। কিন্তু অযথাই একটি রান আউটের কারণে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদী হাসানের সপ্তম উইকেট জুটি থামল ৭১ বলে ৩৮ রানে।

কলিন অ্যাকারম্যানের বল শেখ মেহেদীর ব্যাটে লেগে চলে গেল শর্ট থার্ড ম্যানে। বিপদ ঘটার শঙ্কা নিয়েই সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য দৌড় দিলেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের ফিল্ডার বাস ডি লিডি থ্রো করলেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তে। সরাসরি বল লেগে স্টাম্প যখন ভেঙে গেল, তখনও ক্রিজ থেকে বেশ দূরে শেখ মেহেদী।

৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১১০। শেখ মেহেদী ফিরলেন ১ চারে ৩৮ বলে ১৭ রান করে। তার বিদায়ে বাংলাদেশের জয়ের আশা আরও ক্ষীণ হলো। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে আছেন কেবল মাহমুদউল্লাহ। তিনি খেলছেন ৩৬ বলে ২০ রানে। তার সঙ্গী মাত্রই নামা তাসকিন আহমেদ।

বাংলাদেশের একশ

১৩তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছিল বাংলাদেশের। এরপর দলীয় শতরান এলো ২৮তম ওভারে। মহাবিপর্যয়ের মাঝে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় আছে টাইগাররা।

ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১০২। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন ৩২ বলে ১৭ রানে। তার সঙ্গে শেখ মেহেদী হাসান খেলছেন ৩১ বলে ১৪ রানে।

বাকি ২২ ওভারে জয়ের জন্য আরও ১২৮ রান চাই বাংলাদেশের। অন্যদিকে, চালকের আসনে থাকা নেদারল্যান্ডসকে তুলে নিতে হবে ৪ উইকেট।

১১ বল, ৭ রান, ৩ উইকেট

৩ উইকেটে ৬৩ থেকে মুহূর্তেই যেন ৬ উইকেটে ৭০ রানের দলে পরিণত হলো বাংলাদেশ! ১১ বলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭ রান যোগ করতে তারা হারাল ৩ উইকেট। এদের মধ্যে আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। নেদারল্যান্ডসের পেসারদের আক্রমণের কোনো জবাব যেন জানা নেই টাইগারদের।

২০ ওভার শেষে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৭২। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭ বলে ২ ও শেখ মেহেদী হাসান ৮ বলে শূন্য রানে খেলছেন।

বোল্ড হলেন মুশফিক, মহাবিপর্যয়ে বাংলাদেশ

দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। বরং তার বোল্ড আউটে বাংলাদেশ পড়ল মহাবিপর্যয়ে। ১৮ ওভার শেষে ৭০ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে তারা এখন হারের শঙ্কায়।

ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের পেসাররা তোপ দাগছেন। মুশফিককে ফিরিয়ে পল ফন মিকেরেন পেলেন তৃতীয় উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন লোগান ফন বিক ও বাস ডি লিডি।

অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলের লাইনে যেতে পারলেন না মুশফিক। ইনসাইড এজ হওয়ায় উপড়ে গেল তার স্টাম্প। ৫ বলে তার রান ১।

জয়ের জন্য ৩২ ওভারে আরও ১৬০ রান চাই বাংলাদেশের। ক্রিজে আছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদী হাসান। তাদের পর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটার নেই।

মিরাজও আউট

শরীর থেকে দূরের বল ড্রাইভ করার চেষ্টায় আউট হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাস ডি লিডি আক্রমণে এসেই পেলেন উইকেট। ম্যাচে নিজের চতুর্থ ক্যাচ ধরলেন নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক স্কট এডওয়ার্ডস।

৪০ বলে ৩৫ রান এলো মিরাজের ব্যাট থেকে। তার ইনিংসে চার পাঁচটি ও ছক্কা একটি। ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৬৯ রান। কলকাতায় ডাচদের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে মহাবিপাকে পড়েছে তারা। ক্রিজে আছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

আবারও ব্যর্থ সাকিব

বিশ্বকাপে আগের চার ইনিংসে সাকিব আল হাসানের রান ছিল যথাক্রমে ১, ৪০ ১৪, ১, ১৪। এদিনও বাংলাদেশের অধিনায়ক পারলেন না ব্যর্থতা থেকে মুক্ত হতে। ১৪ বলে ৫ রান করে আউট হলেন তিনি।

ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে এই ম্যাচের আগে দুদিনের জন্য বাংলাদেশে ফেরা সাকিব বাড়তি বাউন্সে আউট হলেন। তিনি খোঁচা মেরে ফেরায় ডাচ পেসার পল ফন মিকেরেন ধরলেন দ্বিতীয় শিকার। উইকেটের পেছনে আরেকটি ক্যাচ নিলেন স্কট এডওয়ার্ডস।

১৬ ওভার শেষে ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপদ আরও ঘনীভূত হলো। ক্রিজে ৩৬ বলে ৩০ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

শান্তর বাজে ফর্মের ধারা জারি থাকল

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর থেকে রানখরায় ভুগছেন তিনি। তার বাজে ফর্মের ধারা জারি থাকল এদিনও। টানা পাঁচ ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পারলেন না।

আক্রমণে এসেই উইকেটের স্বাদ পেলেন ডাচ পেসার পল ফন মিকেরেন। তার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে আউট হলেন শান্ত। স্লিপে দারুণ একটি ক্যাচ নিলেন লোগান ফন বিক। ১৮ বলে ২ চারে শান্তর রান ৯। তার বিদায়ে ভাঙল ৩৯ বলে ২৬ রানের জুটি।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৪৫। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের স্কোর ৩৯/২

ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯ রান। উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ বলে ১৫ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ বলে ৫ রানে খেলছেন। চাপে পড়া দলের হাল ধরার দায়িত্ব এখন তাদের।

মুখোমুখি হওয়া প্রথম ১০ বলে কোনো রান না করা মিরাজ নবম ওভারে চড়াও হন আরিয়ান দত্তের ওপর। নেদারল্যান্ডসের এই অফ স্পিনারের ওই ওভারে তিনি আনেন ১৪ রান। প্রথম বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর পর চতুর্থ ও শেষ বলে চার মারেন মিরাজ।

২২ বল পর রান!

পঞ্চম ওভার উইকেট-মেডেন। ষষ্ঠ ওভারও উইকেট-মেডেন। এরপর সপ্তম ওভারেও হলো না কোনো রান। এমনকি অষ্টম ওভারের প্রথম চার বলও ডট। সব মিলিয়ে টানা ২২ বলে কোনো রান নিতে পারল না বাংলাদেশ! পঞ্চম বলে চার মেরে নাজমুল হোসেন শান্ত ভাঙলেন এই শিকল।

৮ ওভার শেষে টাইগারদের রান ২ উইকেটে ২৩। শান্তর সঙ্গে ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

টিকলেন না তানজিদও

তানজিদ হাসান তামিমকে সাবলীল দেখাচ্ছিল। তিনটি বাউন্ডারি এনে ফেলেছিলেন। কিন্তু লোগান ফন বিকের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে কুপোকাত হয়ে থামল তার ইনিংস। এই ক্যাচটিও নিলেন স্কট এডওয়ার্ডস।

১৬ বলে ১৫ রান করলেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ। দলীয় ১৯ রানে আউট হয়েছিলেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। তানজিদও কাটা পড়লেন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগে।

৬ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকেই হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ল বাংলাদেশ। ওভার শেষে তাদের রান ২ উইকেটে ১৯। নেদারল্যান্ডস পরপর দুটি ওভার নিল মেডেন। ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

রিভার্স সুইপের ব্যর্থ চেষ্টায় ফিরলেন লিটন

রিভার্স সুইপের ব্যর্থ চেষ্টায় সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস। কিছুটা বাড়তি বাউন্স হওয়া বল তার গ্লাভসে লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক স্কট এডওয়ার্ডসের গ্লাভসে। নেদারল্যান্ডসকে শুরুতেই উইকেট এনে দিলেন অফ স্পিনার আরিয়ান দত্ত।

১২ বলে ৩ রান করে আউট হলেন লিটন। দলীয় ১৯ রানে বাংলাদেশ হারাল প্রথম উইকেট। ৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৯ রান। ক্রিজে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশকে ২৩০ রানের লক্ষ্য দিল নেদারল্যান্ডস

পুঁজিটা ২০০ রানের আশেপাশেই থাকতো নেদারল্যান্ডসের। ৯ উইকেট তুলে শেষের পথটা বের করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে শেখ মেহেদী হাসানের করা শেষ ওভারে ঝড় তোলেন আটে নামা লোগান ফন বিক। দুটি চার ও একটি ছক্কায় চার বলেই তুলে নেন ১৬ রান। ফলে শেষ পর্যন্ত কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ২২৯ রানের পুঁজি পেল ডাচরা। অর্থাৎ জিততে হলে ২৩০ রান করতে হবে সাকিব আল হাসানের দলকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নেদারল্যান্ডস: ৫০ ওভারে ২২৯ (বিক্রমজিত ৩, ও'ডাউড ০, বারেসি ৪১, অ্যাকারম্যান ১৫, এডওয়ার্ডস ৬৮, ডি লিডি ১৭, এঙ্গেলব্রেখট ৩৫, ফন বিক ২৩*, শিরাজ ৬, আরিয়ান ৯, মিকেরেন ০; শরিফুল ২/৫১, তাসকিন ২/৪৩, সাকিব ১/৩৭, মিরাজ ০/১৭, মোস্তাফিজ ২/৩৬, শেখ মেহেদী ২/৪০)

আরিয়ানকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকার শরিফুলের

শরিফুল ইসলামের আগের দলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আরিয়ান দত্ত। পরের বলে হাঁকাতে চেয়েছিলেন আরও একটি। শরিফুলের স্লোয়ারে টাইমিংয়ে হেরফের করে ফেলেন তিনি। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বলে ৯ রান করেন আরিয়ান।

৪৯ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২১২ রান করেছে নেদারল্যান্ডস। লোগান ফন বিক ৬ ও পল ফন মিকারেন ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

রানআউট হয়ে ফিরলেন শারিজ

রিভিউ নিয়ে আগের ওভারেই বেঁচে গিয়েছিলেন শারিজ আহমেদ। তবে পরের ওভারেই ফিরেছেন এই তরুণ। শেখ মেহেদী হাসানের বলে মিড উইকেটে ঠেলে দুই রান নিয়েছিলেন। প্রথম রান দ্রুততার সঙ্গেই নিয়েছিলেন। দ্বিতীয়টি নেওয়ার আগে কিছুটা দোমনা ছিলেন তিনি। সেটাই কাল হয় তার। মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে মুশফিকুর রহিম স্টাম্প ভাঙার আগে ফিরতে পারেননি শারিজ। ৮ বলে ৬ রান করেন তিনি।

তবে এরমধ্যেই দলীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছে নেদারল্যান্ডস। ২৮৬ বলে দলের দ্বিশতক পূর্ণ করে দলটি।

৪৮ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০৩ রান। লোগান ফন বিক ৪ ও আরিয়ান দত্ত ২ রানে ব্যাটিং করছেন।

এঙ্গেলব্রেখটকে ফেরালেন শেখ মেহেদী

সেট ব্যাটার সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটকেও ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী হাসানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন এই ব্যাটার। লাইন মিস করলে আঘাত হানে প্যাডে। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়েছেন এঙ্গেলব্রেখট। লাভ হয়নি। ৬১ বলে ৩৫ রান করেছেন এই ব্যাটার।

৪৬ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮৮ রান। লোগান ফন বিক ০ ও শারিজ আহমেদ ২ রানে ব্যাটিং করছেন।

এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ

সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের ক্যাচ মেহেদী হাসান মিরাজ ধরতে পারলে জুটি ভাঙতে পারতেন আগের ওভারেই। তবে পরের ওভারে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে স্লাইস করতে গেলে পয়েন্টে মিরাজের হাতে সহজ দিয়ে ফিরেছেন ডাচ অধিনায়ক। ভাঙে ৭৮ রানের জুটি। ৮৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬৮ রান করেন এডওয়ার্ডস। 

৪৫ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৫ রান। এঙ্গেলব্রেখট ৩৫ ও লোগান ফন বিক ০ রানে ব্যাটিং করছেন।

এঙ্গেলব্রেখটকে জীবন দিলেন মিরাজ

নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে তার এক ওভারে তিন বলের ব্যবধানে দুটি ক্যাচ ফেলেছিলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর অরহিম। এবার তার বলে ক্যাচ ছেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার কাটারে আকাশে বল তুলে দিয়েছিলেন এঙ্গেলব্রেখট। পয়েন্টে সে ক্যাচ ধরতে গিয়ে বলের লাইনেই যেতে পারেননি মিরাজ। শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে চেষ্টা চালালেও নাগাল পাননি। এ সময় ২৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন এঙ্গেলব্রেখট।

৪৩ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭২ রান। এডওয়ার্ডস ৫৮ ও এঙ্গেলব্রেখট ৩২ রানে ব্যাটিং করছেন।

এডওয়ার্ডসের ফিফটির সঙ্গে জুটিরও ফিফটি

বাস ডি লিডি আউট হওয়ার পর সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এরমধ্যেই এ জুটি ছাড়িয়েছে পঞ্চাশের কোটা। ৭৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন অধিনায়ক। আর এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গে তার জুটির ফিফটি এসেছেন ৮১ বলে।

৪১ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬১ রান। এডওয়ার্ডস ৫৫ ও এঙ্গেলব্রেখট ২৪ রানে ব্যাটিং করছেন।

রিভিউ নিয়ে ডি লিডিকে ফেরালেন তাসকিন

প্রথম সারির চার উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন বাস ডি লিডি। ৪২ রানের জুটিও গড়েছিলেন তারা। তবে এ জুটি ভেঙেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ২৭তম অবারের শেষ বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ডি লিডি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেলেও টাইগারদের আবেদনে আঙুল তোলেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে তাকে ফিরিয়েছেন তাসকিন। ৩২ বলে ১৭ করেন ডি লিডি।

২৭ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৭ রান করেছে নেদারল্যান্ডস। এডওয়ার্ডস ২৭ ও সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ০ রানে ব্যাট করছেন।

নেদারল্যান্ডসের দলীয় শতরান

দলীয় ৬৩ রানে চার উইকেট হারানো পর দলের হাল বাস ডি লিডিকে নিয়ে ধরেছেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দুই ব্যাটার। এরমধ্যে দলের শতরানও তুলে নিয়েছে দলটি। ১৫২ বলে এসেছে দলীয় সেঞ্চুরি।

২৬ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৫ রান। ডি লিডি ১৫ ও এডওয়ার্ডস ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন।

মোস্তাফিজের এক ওভারে দুইবার জীবন পেলেন এডওয়ার্ডস।

মোস্তাফিজুর রহমানের করা ১৬তম ওভারে দুইবার জীবন পেলেন এডওয়ার্ডস। প্রথমে স্লিপে দাঁড়ানো লিটন কুমার দাস তার ছাড়েন সহজ ক্যাচ। এর এক বল পর উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহমান ঝাঁপিয়েও গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি এডওয়ার্ডসের ক্যাচ। 

১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৩ রান করেছেন নেদারল্যান্ডস। স্কট এডওয়ার্ডস ও বাস ডি লিডি দুইজনই ০ রানে ব্যাট করছেন।  

অ্যাকেরম্যানকেও ফেরালেন সাকিব

বারেসিকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এবার আরেক সেট ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজ হয়ে ফাইন লেগে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেছেন অ্যাকেরম্যান। ৩৩ বলে ১ রান করেন তিনি।

১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৬৩ রান করেছেন নেদারল্যান্ডস। স্কট এডওয়ার্ডস ও বাস ডি লিডি দুইজনই ০ রানে ব্যাট করছেন। 

বারেসিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ

শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকে ভালো জবাব দিচ্ছিলেন ওয়েস্লি বারেসি ও কলিন অ্যাকেরম্যান। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল তাদের জুটি। তবে আরও বড় ক্ষতি করার আগে এ জুটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার ফুলার লেন্থের স্লোয়ার বলে হাঁকাতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বারেসি। সে ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি অধিনায়ক সাকিব। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। ৪১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৪১ রান করেন বারেসি।

১৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৬৩ রান তুলেছে নেদারল্যান্ডস। কলিন অ্যাকেরম্যান ১৫ ও স্কট এডওয়ার্ডস ০ রানে ব্যাট করছেন। 

অ্যাকেরম্যান-বারেসির জুটির ফিফটি

দলীয় ৪ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। এরপর দলের হাল ধরেছেন কলিন অ্যাকেরম্যান ও ওয়েস্লি বারেসি। প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে এরমধ্যেই গড়েছেন ৫০ রানের জুটি। ৫৭ বলে এসেছে এই জুটির ফিফটি।

১২ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৪ রান। বারেসি ৩৬ ও অ্যাকেরম্যান ১২ রানে ব্যাট করছেন।

নেদারল্যান্ডসের দলীয় ফিফটি

শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। তবে কলিন অ্যাকারম্যান ও ওয়েস্লি বারেসির ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে দলটি। অ্যাকেরম্যান কিছুটা দেখে খেললেও বারেসি খেলছেন হাত খুলেই। তাতে সচল রয়েছে রানের চাকা। এরমধ্যেই দলের ফিফটি পেয়েছে ডাচরা। ৬৫ বলে পঞ্চাশ পার করেছে দলটি।

১১ ওভারে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫১ রান। বারেসি ৩৫ ও অ্যাকেরম্যান ১০ রানে ব্যাট করছেন।  

তাসকিনের পর শরিফুলের আঘাত

দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউডকেও ফিরিয়েছে টাইগাররা। শরীফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে দোমনা হয়ে খেলেছেন ও'ডাউড। তাতে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে থাকা তানজিদ হাসানের হাতে। ৩ বলে কোনো রান করতে পারেননি ও'ডাউড।

তিন ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯ রান। ওয়েস্লি বারেসি ০ ও কলিন অ্যাকেরম্যান ৪ রানে ব্যাট করছেন। 

ডাচ শিবিরে প্রথম ধাক্কা তাসকিনের

ডাচ শিবিরে প্রথম আঘাত করেছেন তাসকিন আহমেদ। তার করা ফুললেংথ বলে ঘোরাতে গিয়ে লিডিং-এজ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন বিক্রমজিত সিং। কিছুটা আগেই শট নেওয়ায় মিড অফে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সহজ ক্যাচে পরিণত হন এই ডাচ ওপেনার। ৯ বলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

দুই ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪ রান। ম্যাক্স ও'ডাউড ০ ও ওয়েস্লি বারেসি ০ রানে ব্যাট করছেন।   

একাদশে ফিরলেন তাসকিন-শেখ মেহেদী

চোট কাটিয়ে ওঠায় তাসকিন আহমেদের ফেরা অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে তার সঙ্গে আরও একটি পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেছেন শেখ মেহেদী হাসান। তাদের জায়গা দিতে সবশেষ ম্যাচ খেলা একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশ:

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।  

দুই পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

টানা চার ম্যাচ হেরে কোণঠাসা অবস্থায় বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন প্রায় ফিকে হয়ে এসেছে। তবুও যদি কিন্তুর নানা সমীকরণে যেটুকু আশা টিকে আছে তা ধরে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে টস ভাগ্য সঙ্গে যায়নি বাংলাদেশের। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ফলে আগে ফিল্ডিং করতে হবে টাইগারদের। 

দুটি পরিবর্তন ডাচদের একাদশেও 

বাংলাদেশের মতো একাদশে দুটি পরিবর্তন করেছে নেদারল্যান্ডসও। শারিজ আহমেদ ও ওয়েসলি বারেসিকে একাদশে এনেছে তারা। তাদের জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন তেজা নিদামানুরু ও রোলফ ফন ডার মারওয়ে

নেদারল্যান্ডস একাদশ:

স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), বিক্রমজিত সিং, কলিন অ্যাকারম্যান, লোগান ফন বিক, আরিয়ান দত্ত, সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, বাস ডি লিডি, পল ফন মিকেরেন, ম্যাক্স ও'ডাউড, শারিজ আহমেদ ও ওয়েসলি বারেসি।

ইডেনে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে টাইগার সমর্থকদের

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আজ শুক্রবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আজ এই মাঠে টাইগারদের সমর্থন বেশি থাকতে পারেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই অনেক সমর্থক ভিড় জমিয়েছেন স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে।

নেদারল্যান্ড এর বিপক্ষে ম্যাচের আগে কলকাতায় বাংলাদেশ সমর্থকদের ভিড়

Posted by The Daily Star on Friday, October 27, 2023

 

এখনও সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন তাসকিন

পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়। কার্যত বাংলাদেশের সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। টিকে আছে কেবল গাণিতিকভাবে। যা বেশ কঠিনই। তবে কঠিন হলেও এই সমীকরণ মেলানোর আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ। শেষ চারে খেলার স্বপ্নে বিভোর পেসার তাসকিন আহমেদ বলেছেন, 'এখনও (সেমি-ফাইনাল সম্ভাবনা) শেষ হয়ে যায়নি, এখনও চারটি ম্যাচ আছে। আমরা যদি এই চার ম্যাচ জিততে পারি, যে কোনো কিছুই হতে পারে। রান রেটের ব্যাপার আছে, এছাড়াও ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর ব্যাপার আছে। আফগানিস্তান হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে, ওরা পরে শ্রীলঙ্কার কাছে সহজে হেরেছে।'

'আমরা যদি তাই চারটি ম্যাচ জিততে পারি, ভিন্ন কোনো গল্প রচনা হতেও পারে। আপাতত আমাদের পরিকল্পনা প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগিয়ে যাওয়া। হ্যাঁ, আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী যথেষ্ট ভালো খেলতে পারিনি। ব্যাটিং-বোলিং কোনো দিক থেকেই নয়। তবে চার ম্যাচ এখনও আছে। আমরা ভালো করতে মুখিয়ে আছি,' যোগ করেন তাসকিন।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আজ শুক্রবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এরপর একই মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। বাংলাদেশের মতোই বিশ্বকাপে সংগ্রাম করছে বাবর আজমের দলও। এরপর শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ মোকাবেলা করবে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার। এই চার ম্যাচ জিতলে এবং অপর ম্যাচগুলোর ফলাফল নিজেদের পক্ষে গেলে সেমিতে খেলতে পারে টাইগাররাও।

সাকিবের দেশে যাওয়ার ঘটনায় সমস্যা দেখছেন না তাসকিন

বিশ্বকাপের মাঝে ব্যাটিং অনুশীলনের জন্য আচমকা দেশে ফিরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করলেও সতীর্থরা এই ঘটনাকে দেখছেন ভিন্নভাবে। বিশ্রামের দিনেও অনুশীলন করে আসা সাকিবকে বরং বাহবা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন পেসার তাসকিন আহমেদ, 'আমি মনে করি, আমাদের এটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত। সে আমাদের ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছে এবং তারপর গিয়েছে। সেদিন আমাদের বিশ্রাম ছিল। অফিসিয়াল অনুশীলনে সে কিন্তু দলের সঙ্গেই আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka getting hotter

Dhaka is now one of the fastest-warming cities in the world, as it has seen a staggering 97 percent rise in the number of days with temperature above 35 degrees Celsius over the last three decades.

9h ago