আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

বুমরাহ বাধায় তিনশর আগে আটকে গেছে আফগানিস্তান

৩৯ রানে চার উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পেয়েছেন বুমরাহ

বুমরাহ বাধায় তিনশর আগে আটকে গেছে আফগানিস্তান

জাসপ্রিত বুমরাহ

আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ে মূল স্তম্ভ ধরা যায় ওপেনিং জুটিকে। সেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে শুরুতেই। তবে হাসমতুল্লাহ শহিদি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে বড় স্কোরের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু পাওয়ারপ্লে, মিডল ওভার, ডেথ- সবখানেই তারা বুমরাহ বাধা টপকাতে ব্যর্থ ঠেকেছে। ফলে তিনশ রানের আগেই আটকে গিয়েছে দলটি।

বুধবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে ৩৯ রানে চার উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের সেরা বোলিং ফিগারের দেখা পেয়েছেন বুমরাহ। তবে ওমরজাইয়ের ৬২ ও শহিদির অধিনায়কোচিত ৮০ রানের ইনিংসের পর শেষে ব্যাটিং ধসে ২৭২ রানের পুঁজি গড়তে পেরেছে আফগানিস্তান।

এদিন টস জিতে ব্যাটিং করা আফগানিস্তানের সামনে এক প্রান্তে বুমরাহ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গেলেও সিরাজ বেশ আগ্রাসী হতে গিয়ে রান খরচা করছিলেন। শুরুর মুভেমেন্টে কঠিন সময় আফগানরা কাটিয়ে দিয়ে ৬ ওভারে করে ২৮ রানে। কিন্তু পরের ওভারে এসেই ইব্রাহিম জাদরানকে কিপারে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। ৪টি চারের মারে ইব্রাহিম খেলেন ২২ রানের ইনিংস।

রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে ভর করে আফগানিস্তান পাওয়ারপ্লে শেষ করতে পারে ৪৮ রানে। যদিও কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। ১৩তম ওভারে হার্দিকের বাউন্সারে ক্যাচ দিয়ে ২১ রানেই ফিরে যান গুরবাজ। পরের ওভারে শার্দুলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে একই পথ ধরেন রহমত শাহ।

৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানদের বিপদ কাটানোর চেষ্টা, শহিদি ও ওমরজাই মিলে করেন দেখেশুনে। সতর্কভাবে খেলে স্ট্রাইক বদল মনোযোগ ছিল এই দুজনের, কিন্তু কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার আঁটসাঁট বোলিংয়ে তা করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। মন্থরগতিতে চলা তাদের ইনিংসে ২৫ ওভার শেষে রান উঠে ১১৪। ওমরজাই গিয়ার পাল্টে কুলদীপ ও জাদেজাকে তিন ছক্কা হাঁকান। শহিদিও সিরাজের ওভারে দুটি চার মারলে আফগানরা ত্রিশ ওভার শেষ করে ১৪৭ রানে।

এরপর শহিদি ও ওমরজাই দুজনেই আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন। তবে হার্দিক পান্ডিয়া এসে ৬৯ বলে ৬২ রানে থামিয়ে দেন ওমরজাইয়ের আগ্রাসন। নাবি এসে শুরুতে ভুগেছেন ভালোই। ততোক্ষণে অপর প্রান্তে শহিদি তখন হাত খুলতে শুরু করেছেন। চল্লিশ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান হয় ২১১।

ডেথে এসেই গড়বড় বাধে আফগানদের। কুলদীপের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার বনে ৮৮ বলে ৮০ রানেই আউট হয়ে যান শহিদি। পরে বুমরাহর এক ওভারেই পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা, স্লোয়ারে ক্যাচ দিয়ে নাজিবুল্লাহ, এলবিডাব্লিউ হয়ে নাবি আউট হন। ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বড় পুঁজির আশা কমতে থাকে আফগানিস্তানের।

দিন খারাপ ছিল সিরাজের, তার উপর চড়াও হয়ে রশিদ ও মুজিব সে আশার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবার বুমরাহ তাদের পথে বাধা হয়ে প্রকট হন! ১৬ রানে ফিরিয়ে দেন রশিদ খানকে। নাভিন উল হক ও মুজিব উর রহমানের ছোট্ট ক্যামিওতে স্কোরটা আরেকটু বড় হয়। তবে ২২৪ রানে ৪ উইকেট থেকে দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে ফেলায় তা ২৭২ রানের বেশি হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago