রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে খুব কাছে গিয়েও ৪ রানে হারল বাংলাদেশ

ছবি: এএফপি

রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে তিনটি ফুল টস দিলেন কেশব মহারাজ। কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারলেন না যথাক্রমে জাকের আলি অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও তীব্র আক্ষেপে পুড়তে হলো বাংলাদেশকে।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নয়বারের দেখায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয় অধরাই রয়ে গেল টাইগারদের। সোমবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটে ১১৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ করতে পারে ৭ উইকেটে ১০৯ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১১৩/৬

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১০৯/৭

বাংলাদেশের ৪ রানের হার

শেষ ১৮ বলে হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ২০ রানের চাহিদা দাঁড়াল বাংলাদেশের। কিন্তু কাগিসো রাবাদার করা অষ্টাদশ ওভারে তাওহিদ হৃদয় আউট হওয়ার পর এলো মাত্র ২ রান। পরের ওভারে ওটনিল বার্টম্যান দিলেন না ৭ রানের বেশি। ফলে ৬ বলে ১১ রানের কঠিন সমীকরণ সামনে পেল টাইগাররা।

কেশব মহারাজের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে জাকের আলি অনিক ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন। রিশাদ হোসেন পরের বল খেলে স্ট্রাইক দিলেন উইকেটে থিতু থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। বাংলাদেশের ২ বলে ৭ রানের প্রয়োজনের মুহূর্তে লো ফুল টস দিলেন মহারাজ। কিন্তু সীমানা পার করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। সীমানার ঠিক ভেতরে এইডেন মার্করাম লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নিলে অবিশ্বাস ফুটে উঠল ২৭ বলে ২০ করা মাহমুদউল্লাহর চোখেমুখে।

ম্যাচের শেষ বলটিও ফুল টস দিলেন মহারাজ। কিন্তু ক্রিজে যাওয়া তাসকিন আহমেদও সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন। এলো স্রেফ সিঙ্গেল। এতে বোলারদের নৈপুণ্যের পর ব্যাটিংয়ে সম্ভাবনা গিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানে হারল বাংলাদেশ।

বাজে বোলিং সত্ত্বেও শেষ ওভারে মাত্র ৬ রানে দুই শিকার ধরা মহারাজই বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা পারফর্মার। সব মিলিয়ে তার শিকার ২৭ রানে ৩ উইকেট। রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া নিলেন দুটি করে উইকেট।

আম্পায়ার্স কলে আউট হৃদয়

কাগিসো রাবাদার বলে আম্পায়ার তেমন জোরালো আবেদন ছাড়াই এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর রিভিউ নিলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো ভাগ্যকে পাশে পেলেন না দারুণ খেলতে থাকা ডানহাতি ব্যাটার। বল স্রেফ লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার্স কলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে। ৩৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় তিনি করলেন ৩৭ রান। ৪৫ বলে ৪৪ রানের জুটি ভাঙায় ফের চাপ জেঁকে বসল বাংলাদেশের ওপর।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ

ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পায়ে লাগার পর আম্পায়ার সাড়া দিলেন জোরালো আবেদনে। এরপর মাহমুদউল্লাহ নিলেন রিভিউ। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেল, বল মিস করত স্টাম্প। পাল্টে গেল সিদ্ধান্ত। বেঁচে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ ফেলল স্বস্তির নিঃশ্বাস।

এক বলের ব্যবধানে বার্টম্যানকে একস্ট্রা কভার দিয়ে চার মারলেন তাওহিদ হৃদয়। ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়াল ৪ উইকেটে ৯৪ রান। বাকি ১৮ বলে তাদের দরকার ২০ রান।

মহারাজের বলে হৃদয়ের আরেকটি ছক্কা

শুরু থেকেই ক্রিজে সাবলীল তাওহিদ হৃদয়। নবম ওভারে লং অন দিয়ে কেশব মহারাজকে ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। ১৪তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনারকে স্লগ সুইপকে আরেকটি ছক্কা মারলেন তিনি। এতে লক্ষ্য তাড়ায় সামনে থাকা কঠিন সমীকরণ কিছুটা হলেও আলগা হলো।

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮৩ রান। জিততে বাকি ৩০ বলে ৩১ রান চাই তাদের। চাপ সামলে ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে উঠেছে পঞ্চম উইকেটে। হৃদয় ২৮ বলে ২৯ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৪ বলে ১৪ রানে উইকেটে আছেন।

জীবন পেলেন মাহমুদউল্লাহ 

৫০ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ আরও বিপদে পড়তে পারত। আউট হতে পারতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে আনরিখ নরকিয়ার শর্ট বলে স্লিপে তার দুরূহ ক্যাচ ধরতে পারলেন না মার্কো ইয়ানসেন। ব্যক্তিগত ৬ রানে বাঁচলেন তিনি। ১২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৬৪।

জয়ের জন্য ৬০ বলে বাংলাদেশের চাই ৬৪ রান

প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৫০ রান তুলল বাংলাদেশ। বাকি ৬০ বলে তাদের দরকার আরও ৬৪ রান। এই উইকেটে যা কোনোক্রমেই সহজ কাজ নয়। টাইগারদের হাতে রয়েছে ৬ উইকেট।

শান্তর বিদায়ে বাড়ল চাপ

কঠিন উইকেটে ১১৪ রান তাড়ায় টিকে থাকার অভিপ্রায় দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৩ বলে ১৪ রান করে আনরিখ নরকিয়ার বলে বিদায় নিয়ে চাপ বাড়ালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনিও সাকিব আল হাসানের মতো শর্ট বলে পরাস্ত হলেন। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের মধ্যভাগ শেষ করল বাংলাদেশ।

টিকলেন না সাকিব, চাপে বাংলাদেশ

৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল বাংলাদেশ। আনরিখ নরকিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে কুপোকাত হলেন সাকিব আল হাসান। অনিয়ন্ত্রিত শটে অনেক উঁচুতে উঠে যাওয়া বল অনায়াসে লুফে নিলেন এইডেন মার্করাম। ৪ বলে সাকিবের সংগ্রহ ৩ রান। অষ্টম ওভারে ৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ল টাইগারদের।

আক্রমণে এসেই লিটনকে ফেরালেন মহারাজ

সাবধানী ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটে ২৯ রান তুলে পাওয়ার প্লে শেষ করল বাংলাদেশ। কিন্তু সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ঘটল বিপদ। আক্রমণে এসেই লিটন দাসকে আউট করলেন কেশব মহারাজ। তার ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারিতে ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারলেন না ডানহাতি ব্যাটার। কভারে ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিলেন ক্রিজে অস্বস্তিতে থাকা লিটন। ১৩ বলে তার রান ৯।

ইতিবাচক শুরুর পর তানজিদের বিদায়

ইতিবাচক শুরুকে বেশিদূর টেনে নিতে পারলেন না তানজিদ হাসান তামিম। কাগিসো রাবাদার করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে টানা চার মারার পর শেষ বলে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে তাড়া করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের তালুবন্দি হলেন বাঁহাতি ওপেনার। ৯ বলে ৯ রানে থামলেন তিনি। দলীয় ৯ রানেই পড়ল বাংলাদেশের প্রথম উইকেট।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে থামাল বাংলাদেশ

টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ছক্কা-চারে শুরু করলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদের তোপে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।

পরে হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার মিলে ৭৯ রানের জুটিতে দলকে পার করান তিন অঙ্ক। শেষদিকে ফের জ্বলে উঠে প্রোটিয়াদের ১১৩ রানে বেঁধে ফেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের তাই দরকার ১১৪  রান।

১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল তানজিম। তাসকিন ২ উইকেট পান ১৯ রান খরচায়। উইকেট না পেলেও মোস্তাফিজুর রহমান আঁটসাঁট থেকে ৪ ওভারে দেন স্রেফ ১৮ রান। রিশাদ হোসেন ৩২ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১১৩/৬

মিলারের উইকেট পেলেন রিশাদ 

১৩ রানে জীবন পাওয়া ডেভিড মিলারকে ১৯তম ওভারে ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ৩৭ বলে ২৯ রান করা বাঁহাতি ব্যাটার স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ১০৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।  

ক্লাসেনকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন তাসকিন

২৩ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর পঞ্চম উইকেটে দারুণ জুটি গড়েন হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ৭৯ রানের জুটি ১৮তম ওভারে ভেঙেছেন তাসকিন আহমেদ। কঠিন উইকেটে ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ফিরে গেছেন ক্লাসেন। 

মিলার-ক্লাসেন জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরোধ 

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়েছেন হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ব্যাট করার জন্য কঠিন উইকেটে মহামূল্যবান জুটি গড়েছেন তারা। এই দুজনের জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রোটিয়ারা। 

জীবন পেলেন মিলার 

ডেভিড মিলারকে আউট করার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। একাদশ ওভারে মাহমুদউল্লাহর বলে আউটসাইড এজড হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন মিলার। ১৩ রানে থাকা বাঁহাতির ক্যাচ ধরে রাখতে পারেননি লিটন দাস। ২৩ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন হেনরিক ক্লাসেন-ডেভিড মিলার। 

দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ 
পঞ্চম ওভারে এসে আরেক উইকেট পেয়ে গেছেন তানজিম হাসান সাকিব। তার বাড়তি বাউন্সের বলে ট্রিস্টিয়ান স্টাবস কাভারে সাকিব আল হাসানের দারুণ ক্যাচে শিকার হন। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এবার তাসকিনের শিকার মার্করাম

তানজিম হাসান সাকিবের পর উইকেট নেয়া শুরু করেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও। তার ভেতরে ঢোকা দারুণ বলে বোল্ড হয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

দুই ওপেনারকে ফেরালেন তানজিম 

নিজের প্রথম ওভারে খরুচে বল করেও রেজা হেনড্রিকসের উইকেট পেয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তার উপর চড়াও হওয়া কুইন্টেন ডি কককে পরের ওভারে এসে থামান এই ডানহাতি পেসার। তানজিমের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে পাননি বাঁহাতি ওপেনার। উড়ে যায় তার বেলস। ১৯ রানে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় উইকেট। 

প্রথম ওভারে হেনড্রিকসকে ফেরালেন তানজিম 

শুরুতেই তানজিম হাসান সাকিবের উপর চেপে বসেছিলেন কুইন্টেন ডি কক। বিশাল ছক্কা ও চারের পর সিঙ্গেল নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দেন রেজা হেনড্রিকসকে। স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে গেছেন প্রোটিয়া ওপেনার। ভেতরে ঢোকা বল খেলতে গিয়ে পায়ে লাগিয়ে ফেরেন তিনি। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

প্রথম ওভারে হেনড্রিকসকে ফেরালেন তানজিম 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউইয়র্কের কঠিন উইকেটে টস ভাগ্য পক্ষে পায়নি  বাংলাদেশ। টস জিতে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্কারাম আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে টস হেরেও সমস্যা হচ্ছে না। কারণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানান, টস জিতলেও তারা আগে বোলিংই বেছে নিতেন। 

সোমবার নাসাউ কাউন্টে গ্রাউন্ডে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে একটি বদল এসেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়া সৌম্য সরকারের জায়গায় একাদশে এসেছেন ডানহাতি ব্যাটার জাকের আলি অনিক। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে। চার পেসারের সঙ্গে তাদের একাদশে আছেন দুই স্পিনার।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রেজা হেন্ড্রিকস, কুইন্টেন ডি কক, এইডেন মার্করাম, ট্রিস্টান স্টাবস, হেইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, ওটনিয়েল বার্টম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

You have crushed fascism, now strengthen democracy and press freedom

The Daily Star Editor Mahfuz Anam's appeal to the ‘new generation leaders’

12h ago