আবেগ স্পর্শ করছে স্টেইন-স্মিথদের, মার্করামের কাছে অনেক অর্থবহ দিন

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এর আগে সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেও ফাইনালে যাওয়া হয়নি প্রোটিয়াদের। কখনো সেমিতে আসার আগেই বাদ পড়েছে বৃষ্টি বাগড়ায় অদ্ভুত সব কারণে। ১৯৯৯ সালে ম্যাচ না হেরে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের। ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার দিনটি অন্যরকমই এলো।
South Africa
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরে ভেঙে পড়েছিলেন ডেল স্টেইন। এবার এইডেন মার্করাম, মার্কো ইয়ানসেনরা তাকে দিয়েছেন আনন্দের দিন

দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালে যাওয়ার মুহূর্তে ধারাভাষ্যে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শক পোলক। গলাও কি একটু কেঁপে উঠেছিলো তার? এর আগে বারবার ফাইনালের কাছে গিয়েও তাদের সঙ্গী হয়েছে স্রেফ যন্ত্রণা। বিশ্ব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার নামই হয়ে গেছে 'চোকার্স'। এবার এইডেন মার্করামের দল সব অপবাদ আর যন্ত্রণা যেন মুছে দিতে নেমেছে। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠায় দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও ভাসছেন আবেগে। আর অধিনায়ক মার্করাম বলছে এই জয় তাদের কাছে অনেক কিছু।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এর আগে সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেও ফাইনালে যাওয়া হয়নি প্রোটিয়াদের। কখনো সেমিতে আসার আগেই বাদ পড়েছে বৃষ্টি বাগড়ায় অদ্ভুত সব কারণে। ১৯৯৯ সালে ম্যাচ না হেরে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের। ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার দিনটি অন্যরকমই এলো। ত্রিনিদাদে আফগানিস্তানকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ফাইনালে পা রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম হয়েও এখনো যাদের বিশ্বকাপ অধরা।

ম্যাচ জয়ের পর সাবেক পেসার ডেল স্টেইন এক্স একাউন্টে লিখেছেন, 'এখন খুবই আবেগময় সময়। আমরা ফাইনালে।'

আরেক সাবেক অধিনায়ক স্মিথ পর পর দেন দুটি পোস্ট, একটিতে লেখেন, 'আমরা ফাইনালে'। আরেকটিতে লেখেন, 'এরচেয়ে বেশি খুশি হতে পারতাম না এইডেন মার্করাম ও তার দলের জন্য। আর কেবল এক ম্যাচ।'

বিশ্বকাপের এই সেমিফাইনাল শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার সময় মধ্য রাতে। দলটির সাবেক তারকাদের অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া হয়ত জানাবেন আরও পরে।

ত্রিনিদাদে আফগানদের মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে ৯ উইকেটে সহজেই জিতে ফাইনালে পা রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচের সবগুলোই জিতল তারা। অধিনায়ক মার্করামের কাছে এই জয়টা অনেক বড় কিছু,  'আমরা কিছু স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ জিতছিলাম। দেশের মানুষ আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবে আমরা এবার সহজেই জিতেছি। আমাদের আরও এক ধাপ যেতে হবে। এই সুযোগ আমরা আগে কখনো পাইনি। কাজেই ভয়ের কিছু নাই। এই জয়টা অনেক অর্থ বহন করে। আমাদের বিশ্বমানের তারকা ছিলো সব সময়। দল হিসেবে জ্বলে উঠার দরকার ছিলো।'

'খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে। শুধু মাত্র অধিনায়কের জন্য এতদূর আসা হয় না। এটা পুরো স্কোয়াদের দারুণ চেষ্টার প্রাপ্তি।'

ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী ২৯ জুন বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Comments

The Daily Star  | English

8yrs of Holey Artisan carnage: Militants turning to apps to draw new recruits

With the so-called Islamic State trying to regroup in Syria and beyond, Neo JMB, a Bangladeshi IS-inspired group, is becoming active again.

5h ago