কেন বিশ্বকাপ জিতে পিচের মাটি মুখে দিয়েছিলেন, জানালেন রোহিত

Rohit Sharma

রোহিত শর্মাদের বিশ্বকাপের কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে বারেবার । দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার যখন অবসান হয় বার্বাডোজে, ভারতীয় দলকে আবেগ ছুঁয়েছিল তীব্রভাবে। পাঁচটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের পর জয়ের মুখ দেখতে পায় ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সেই ফাইনালের পর পিচের মাটিই মুখে দিতে দেখা যায় রোহিতকে। এমনটা করার কারণ এবার জানালেন ভারতের অধিনায়ক।

২৯ জুন বিশ্বকাপ জেতার পর ঘূর্ণিঝড় বেরিলে বার্বোডোজেই তিন দিন আটকে পড়েছিল ভারত দল। এরপর বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। সেখানে রোহিতকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই প্রশ্ন করেন মাটি খাওয়ার ব্যাপারে। তখন দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা রোহিত বলেন, 'যেখানে আমরা জয় পেয়েছি, ওখানের শুধু এক মুহূর্ত আমি সবসময় স্মৃতিতে রাখতে চেয়েছিলাম এবং স্বাদ নিতে চেয়েছিলাম। কারণ ওই পিচে আমরা খেলে, ওই পিচে আমরা জিতে পেয়েছি বিশ্বকাপ।'

'আমরা সবাই এই জিনিসের জন্য অনেক অপেক্ষা করেছি, অনেক পরিশ্রম করেছি। অনেকবার আমাদের একেবারে কাছাকাছি এসেছে বিশ্বকাপ, কিন্তু আমরা এরপরের পথ পাড়ি দিতে পারিনি। কিন্তু এইবার সবার কারণে এই জিনিস হাসিল করতে পেরেছি। তো ওই পিচ আমার জন্য অনেক…যা আমরা করেছি, ওই পিচেই করেছি, এজন্য। ওই মুহূর্তে (আসলে) এটা হয়ে গেছে আমার থেকে।', যোগ করেন রোহিত।

২০০৭ সালে খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন রোহিত। ১৭ বছর পর আরেকটি কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ব্যাটার। সেটিও অনেক বেদনার অধ্যায়ের সাক্ষী হওয়ার পর। তার অধিনায়কত্বে ২০২৩ সালে ওয়ানডে ও টেস্টের বৈশ্বিক আসরে ফাইনালে হেরেছিল ভারত। এর আগে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছিল ভারত।

খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৪ সালের কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছিলেন। এরপর একই সংস্করণের ২০১৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই থেমে গিয়েছিল তাদের যাত্রা। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল হারের যন্ত্রণাও আছে। আছে ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হার। যদিও খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বাদও পেয়েছিলেন রোহিত।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

17h ago