রেফারিকে অর্থ প্রদানের অভিযোগ নিয়ে 'রসিকতাও করেছে' বার্সেলোনা

ছবি: এএফপি

বার্সেলোনার বিরুদ্ধে স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি কমিটির এক সময়ের সহ-সভাপতিকে ১৪ লাখ ইউরো প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তবে এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ দলটির কোচ জাভি হার্নান্দেজ। এমনকি অভিযোগটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে তারা রসিকতাও করতেও ছাড়েননি।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্প্যানিশ গণমাধ্যম কাদেনা সের দাবি করে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছর ধরে ওই অর্থ প্রদান করে বার্সা। যে কোম্পানিকে তারা অর্থ দিয়েছিল সেটার নাম 'ডিএএসএনআইএল নাইন্টি ফাইভ'। প্রতিষ্ঠানটি ৭৭ বছর বয়সী হোসে এনরিকেজ নেগ্রেইরার। তিনি ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৪ বছর ছিলেন রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সহ-সভাপতি।

উল্লিখিত কোম্পানির কর নিরীক্ষণের পর ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে স্পেনের প্রসিকিউটর অফিস। তাদের কাছে নেগ্রেইরা ও তার সন্তান সাক্ষ্য দিয়েছেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে অর্থের বিনিময়ে বার্সেলোনাকে বাড়তি কোনো সুবিধা দেননি। তবে এই সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা বার্সা রোববার রাতে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে মুখোমুখি হবে কাদিজের। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি বলেছেন, কেবল প্রতিপক্ষকে নিয়ে ব্যস্ত আছেন তারা, 'আমরা কাদিজের বেশ কিছু ভিডিও দেখেছি এবং তাদেরকে নিয়ে কাজ করছি। কেবল এবং কেবল কাদিজকে নিয়েই আমরা মনোযোগী আছি।'

স্পর্শকাতর বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন কাতালানদের কোচ জাভি, '(রেফারিকে অর্থ প্রদানের) খবরটাকে আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে সহজ উপায়ে গ্রহণ করেছি। এমনকি আমরা এটা নিয়ে রসিকতাও করেছি। আর বেশি কিছু না। আমাদের এটা নিয়ে মাথা ঘামাইনি, নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করিনি।'

কাদেনা সের জানায়, বার্সার সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একটানা অর্থ প্রদান করা হয়। ক্লাবের ব্যয় কমানোর অংশ হিসেবে তা বন্ধ হয়ে যায়। ওই কোম্পানিকে ২০১৬ সালে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭২৮ ইউরো, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৭৫২ ইউরো ও ২০১৮ সালে ৩ লাখ ১৮ হাজার ২০০ ইউরো প্রদান করে বার্সেলোনা।

স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, তিন বছরের পুরোনো কোনো অপরাধ নিয়ে তারা তদন্ত করতে পারবে না। তাই লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেবাস নিশ্চিত করেছেন, ক্রীড়া বিষয়ক কোনো নিষেধাজ্ঞা মিলবে না বার্সার। তবে জানিয়েছেন, প্রসিকিউটর অফিসের তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে ফৌজদারি মামলা হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English
Proper audits can ensure social compliance in the RMG industry

US top remittance source in Nov, Dhaka top recipient

The biggest source of all the remittance received by Bangladesh last November was the US, according to the latest report of Bangladesh Bank (BB)..Moreover, Dhaka secured the lion’s share of the foreign currencies..Bangladeshi migrants sent home $2,199.99 million in November. Of it, $

4h ago