এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৮৮ লাখ মানুষের টিআইএন রয়েছে। তাদের মধ্যে আয়কর রিটার্নের প্রমাণ জমা দিয়েছেন ৩২ লাখ মানুষ।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থপাচার
বিভিন্ন সময় বাজেটে আমি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে পারব আমি সবগুলো পূরণ করেছি
কিছু মানুষের কাছে অর্থনীতির এই পরিভাষাটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে, সরকার খামারের জন্য ভর্তুকি হিসেবে ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল, যেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার কোটি টাকা।
২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভিশন এবং নির্বাচনকে সামনে রেখেই যেন এই বাজেট ঘোষণা।
আগামী অর্থবছরে করমুক্ত বার্ষিক আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের মধ্যে এটিই করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার জ্বালানি তেলে সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের অন্তত ১৬ শতাংশ এবং স্বাস্থ্যখাতে ১১ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে ৫১টি।
বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চলমান ধারা মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়াতে পারে এবং আগামী অর্থবছরে ডলার সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে আমিনুরের মতো আরও অনেকেরই নাভিশ্বাস অবস্থা।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা শেষ করা।’
সামির সাত্তার উল্লেখ করেন, দেশের কর ও জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর জন্য কর প্রশাসন এবং এর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করা উচিত।
তিনি জানান, মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলোকে উন্নত করাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীকে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েই হাজির হতে হবে। কারণ, বিদায়ী অর্থবছরে গৃহীত ব্যবস্থা প্রত্যাশিত প্রতিকার এনে দিতে পারেনি।