প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২ মার্চ

supreme-court.jpg
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি। 

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। আগামী ২ মার্চ হবে এই শুনানি। 

রিটকারী প্রার্থীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আইনের ব্যাখ্যার বিষয় জড়িত থাকায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেননি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নিয়োগের অনুমতি দিতে এবং নিয়োগ-বঞ্চিত হয়ে রিট করা প্রার্থীদের সংরক্ষিত পদে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। 

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৩১ জন প্রার্থীর করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রায় দেন, সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ ৮৪ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার ভিত্তিতে হয়েছে। এই কোটা ব্যবস্থা গত বছরের জুলাই মাসে বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে সরকারি চাকরির ৯৩ শতাংশ পদ মেধার ভিত্তিতে এবং বাকি সাত শতাংশ কোটা ব্যবস্থার অধীনে দেওয়ার নির্দেশও দেন হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের এই রায়ের পর থেকে নিয়োগ-বঞ্চিত প্রার্থীরা রাজধানীতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। 

আজকের শুনানিতে রিটকারী প্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং নির্বাচিত শিক্ষকদের পক্ষে ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত) ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।

 

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

11h ago