কোটা পদ্ধতিতে প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল
![high court high court](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/high-court-1_2_0.jpg)
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন আদালত।
তাদের নিয়োগ ৮৪ শতাংশ কোটা পদ্ধতিতে হয়েছিল। গত বছরের জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে এই পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগ এই রায় দিয়েছেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।
তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধাভিত্তিক এবং বাকি সাত শতাংশ কোটা—সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওই সব পদে প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন ৩১ প্রার্থী।
রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছরের ২০ নভেম্বর থেকে ছয় হাজার ৫৩১ জন শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা থাকলেও, আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে তারা চিঠি পাননি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ একজন প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আমরা আপিল বিভাগে যাব।
রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষে উপস্থিত শিক্ষকরা হতাশা প্রকাশ করেন। কেউ কেউ আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়।
Comments