জলকামান-লাঠিচার্জ করে আন্দোলনরত শিক্ষকপ্রার্থীদের আজও ছত্রভঙ্গ করল পুলিশ

আন্দোলনরত শিক্ষকপ্রার্থীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া বিক্ষোভরত প্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আজও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন হাইকোর্টের রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরা। 

আন্দোলনরত শিক্ষকপ্রার্থীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বিকেলের দিকে তারা শিক্ষাভবনের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে জলকামান ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ শিক্ষাভবনের সামনে ব্যারিকেড দেয় এবং আন্দোলনরত শিক্ষকদের লক্ষ্য করে জলকামান, টিয়ারশেল ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে।

আন্দোলনকারীদের একজন টাঙ্গাইলের সানজিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শাহবাগ থেকে বিকেল ৩টার দিকে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকি। শিক্ষা ভবনের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের পথ আটকায়।'

পুলিশ জলকামান ছুড়তে শুরু করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

'সেখানে পুলিশের সঙ্গে আমাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পুরুষ শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে এবং নারী শিক্ষকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে,' বলেন তিনি।

সানজিদুল আরও জানান, এরপর পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে হাইকোর্টের আশপাশে নিরাপদ জায়গায় ছড়িয়ে যান।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা সোনিয়া আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের নিয়োগের দাবিতে গত ১১ দিন ধরে আমরা রাজপথে। আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। সেই ৬ তারিখ থেকে আমরা আজকের দিন পর্যন্ত রাস্তায় মার খেয়ে যাচ্ছি।'

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।

গত ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে জলকামান ছোড়ে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

BB to adopt more flexible exchange rate to meet IMF conditions

After a months-long stalemate, the Bangladesh Bank (BB) is finally set to adopt a more flexible exchange rate regime to fulfil conditions tied to a $4.7 billion International Monetary Fund (IMF) loan programme, which will likely enable Bangladesh to receive $1.3 billion in the fourth and fifth tranches.

9h ago