‘যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজাকে জনশূন্য করছে ইসরায়েল’

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহিংসতায় প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গাজাকে জনশূন্য করার লক্ষ্যে কাজ করছে ইসরায়েল। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

আজ রোববার আল জাজিরার এক বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে।

মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান নিয়েমনাহ আল জাজিরাকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ইসরায়েল গাজায় এতটা সহিংস হতে পেরেছে । দেশটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের যোগান পেয়েছে।

নিয়েমনা বলেন, 'এ পর্যায়ে এসে (এত সহিংসতার পর) মার্কিনিদের নিরবতা, অস্ত্র সরবরাহ করে "প্রায় অংশগ্রহণের" ধারা ও অন্য সব কিছুর বিচারে এ কথা বলতেই হয়, গাজায় যা হচ্ছে তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নীতিগত ভাবে একমত।'

গত কয়েকদিন ধরে উত্তর গাজায় নতুন করে হামলা তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এমন কী, এই হামলা থেকে বাঁচার জন্য গাজাবাসীরা পালাতে গেলে তাদেরও ওপরও হামলা চালাতে দ্বিধা করছে না আইডিএফ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইসরায়েল 'গায়ের জোরে ফিলিস্তিনিদের বিদায় করে' তাদের ভূখণ্ড দখলের লক্ষ্যে আগাচ্ছে।

দেইর আল বালাহ অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের জানাজা পড়ানো হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
দেইর আল বালাহ অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের জানাজা পড়ানো হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

তিনি বলেন, 'গাজায় আমরা যে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি দেখছি', তার দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের 'সহায়তায়'।

তিনি বলেন, 'সেখানে একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আর আমরা তার প্রত্যক্ষদর্শী। আবারও, আমরা এ ক্ষেত্রে দেখছি ইসরায়েলের মিত্র (যুক্তরাষ্ট্র) একেবারেই চুপ। এমন কী, তাদেরকে নিস্পৃহও বলা যায়। প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ মদদ ঠিকই দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের সায় না থাকলে ইসরায়েল এখন যা করছে, তার কোনদিনও করতে পারত না।'

'স্পষ্টতই, ইসরায়েল যা অর্জন করছে, সেটাই ছিল তাদের এই সামগ্রিক অভিযানের লক্ষ্য—গাজা উপত্যকাকে জনমানবহীন করে ফেলা', যোগ করেন নিয়েমনা।

Comments

The Daily Star  | English
sirens sound in israel after iran missile attack

Attacking military infrastructure in Western and Central Iran: Israeli military

Trump to decide within two weeks on possible military involvement

20h ago