এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ৭ দিনের রিমান্ডে

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ তদন্তে সিআইডি
নজরুল ইসলাম মজুমদার | ছবি: সংগৃহীত

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেত্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী এলাকায় গত ৫ আগস্ট ইমন হোসেন গাজী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

নজরুল ইসলাম মজুমদার নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। গতকাল রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।

এদিকে নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

আজ এক সংবা বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফিরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ বছরের বিভিন্ন সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ১৩০ এলসি বা সেলস কন্ট্রাক্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে।

কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ওইসব পণ্যের রপ্তানি মূল্য প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে আসেনি। সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে ওই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। 
এছাড়া, তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে অর্থপাচারের মাধ্যমে লন্ডনের ফিলিমোর গার্ডেন এবং ব্রান্সউইক গার্ডেনে মেয়ে আনিকা ইসলামের নামে বাড়ি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সিআইডি জানায়, ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নজরুল ইসলাম নাসা গ্রুপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৪টি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিং করে শতশত কোটি টাকা দুবাই, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। তার বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম পৃথক অনুসন্ধান পরিচালনা করছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago