সু চিকে ভ্যাটিকানে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন পোপ

পোপ ফ্রান্সিস ও অং সান সু চি। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
পোপ ফ্রান্সিস ও অং সান সু চি। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারের কারাবন্দী নেতা অং সান সু চিকে ভ্যাটিকানে আশ্রয় দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার ইতালীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

'আমি অং সান সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছি। আমি তার ছেলের সঙ্গে রোমে দেখা করেছি। আমি ভ্যাটিকানকে প্রস্তাব দিয়েছি, সু চিকে যেন আমাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় দেওয়া হয়', বলেন পোপ।

এ মাসের শুরুতে এশিয়া সফরের সময় জেসুইটদের সঙ্গে এক বৈঠকে পোপ এ কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।

দৈনিক পত্রিকা কর‍্যিয়ে দেল সেরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইতালীয় যাজক আন্তোনিও স্পাদারো এসব ব্যক্তিগত বৈঠকের কিছু তথ্য গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন। ২ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মাঝে ইন্দোনেশিয়া, পূর্ব তিমুর ও সিঙ্গাপুরে এই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার্স স্কয়ার। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার্স স্কয়ার। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বৈঠকে পোপ বলেন, 'মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমাদের কিছু করা উচিত।'

'মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ হওয়া উচিত শান্তিপূর্ণ। সেখানে সবার মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে এবং এমন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে, যাতে সবাই দেশের উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যে অবদান রাখতে পারে', যোগ করেন পোপ।

দুর্নীতি থেকে শুরু করে করোনাভাইরাস মহামারির বিধিনিষেধ না মেনে চলার মতো অসংখ্য অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন সু চি (৭৮)

২০১৫ সালে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেন। সেটা ছিল প্রায় ২৫ বছরের মধ্যে মিয়ানমারের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করে গৃহবন্দী করে রাখে সামরিক জান্তা।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্প। ছবি: রয়টার্স
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্প। ছবি: রয়টার্স

১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চি এক সময়য় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে চুপ থেকে বড় আকারে সমালোচিত হন সু চি। তার প্রতি বৈশ্বিক জনমত নেতিবাচক হতে শুরু করে।

পরবর্তীতেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ঠেকাতে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেননি সু চি।

 

Comments

The Daily Star  | English
US dollar price rises

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

1h ago