৬২ কোটি টাকা পাচার: সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এম শামসুদ্দোহা খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে ৩০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৩৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পদের বিবরণী গোপনের অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এম শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ আদেশ দেন।

দুদকের তদন্তে বলা হয়েছে, এই দম্পতি ৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পাচার করেছে।

মামলায় এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও এই মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম গত ২ জুলাই শামসুদ্দোহা ও ফেরদৌসিকে অভিযুক্ত করে দুটি চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর সামসুদ্দোহার ও ফেরদৌসির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক শাহিন মমতাজ।

দুটি চার্জশিটের একটিতে বলা হয়, শামসুদ্দোহা অবৈধভাবে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

দুদক কর্মকর্তা খোরশেদ অপর চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন, ফেরদৌসী জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ২৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

শামসুদ্দোহা তার স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৮৬ সালের ২৮ আগস্ট সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন শামসুদ্দোহা। তিনি ২০১১ সালে অতিরিক্ত আইজিপি হন এবং ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Corruption still a significant obstacle to doing business in Bangladesh: CPD 

Around 17% of businesses identified corruption as biggest challenge, according to a CPD survey 

58m ago