নিক্সন ও স্ত্রী তারিনের অ্যাকাউন্টে ৩১৬২ কোটি টাকার ‘অস্বাভাবিক’ লেনদেন, দুদকের মামলা

নিক্সন চৌধুরী ও তারিন হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ব্যাংক লেনদেন ও প্রায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমানের দায়ের করা প্রথম মামলার বিবরণীতে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরী এমপি থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। 

এছাড়া, তার নামে ও বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার ৫৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট ১ হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের খবর পাওয়া গেছে।

এসব লেনদেনের মাধ্যমে অর্থপাচার করা হয়েছে ও অর্থের উৎস গোপন করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় নিক্সনের স্ত্রী সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ে তারিন হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে এবং নিক্সন চৌধুরীকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, তারিন হোসেন তার স্বামীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৮ কোটি ৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। 

তিনি তার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন এবং এই অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ  স্থানান্তর করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

দুদক মহাপরিচালক আখতার হোসেন বলেন, 'দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে।'

এর আগে, দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। 

গত ২৩ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s ICT trial hears survivor’s account of being shot, denied treatment

Survivor claims Hasina ordered 'no release, no treatment' for injured protesters in court

1h ago