আন্দোলনে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: কামাল হোসেন
গণফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে 'দেখামাত্র গুলির নির্দেশ' দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পাশাপাশি এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি তুলেছেন ড. কামাল হোসেন। এছাড়া 'অরাজনৈতিক' আন্দোলনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীসহ অনেক শান্তিপ্রিয় নাগরিক নিহত-আহত-গণগ্রেপ্তার ও গণনির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব হত্যা-নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করার দাবিও করেন তিনি।
বিবৃতিতে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, 'কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারে বিপুলসংখ্যক ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও গুরুতর আহত করা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি আরও বলেন, 'এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে মনে রাখতে হবে মানুষের প্রাণের মূল্য দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ বা স্থাপনার চেয়েও অনেক বেশি।'
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আটককৃত ছাত্র-জনতার মুক্তিদানসহ অবিলম্বে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
Comments