গাজীপুরে পোশাক কারখানা খুলেছে, জুলাইয়ের বেতনের দাবি শ্রমিকদের

পোশাক কারখানা
গাজীপুরের জয়দেবপুরে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা। ছবি: স্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশজুড়ে সংঘর্ষ ও কারফিউয়ের কারণে বেশ কয়েকদিন পোশাক ও বস্ত্র কারখানাগুলো আবার খুলেছে। তবে জুলাইয়ের বেতনের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শ্রমিক।

একাধিক কারখানার শ্রমিকেরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, কারখানা খুললেও তারা গত মাসের বেতন পাননি।

আজ রোববার সকাল থেকে পোশাক শ্রমিকদের কারখানায় যেতে দেখা যায়।

সাদমা গ্রুপের মালিক ও বিজিএমইএ সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চলতি সপ্তাহেই গত মাসের বেতন দেওয়া হবে। অনেক কারখানা মালিক ব্যাংকে লেনদেন করতে না পারায় বেতন দিতে পারেননি।'

মিক নীট কারখানার শ্রমিক রফিক মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারখানায় কাজ করছি। অন্যান্য শ্রমিকরাও কাজে যোগ দিয়েছেন। সঠিক সময়ে বেতন না পেলে বাসায় থাকতে দিবেন না বাসার মালিক।'

গাজীপুর মহানগর বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি শফিউল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। আতঙ্ক থাকলেও কাজের পরিবেশ ফিরেছে। বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা জুলাইয়ের বেতন পাননি। বাজার করতে শ্রমিকদের অসুবিধা হচ্ছে।'

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুন লাইট গার্মেন্টস লিমিটেড ও এহসান গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের এখন পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয় নাই।'

গাজীপুরের কারখানার নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স।

স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, 'শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা দিতে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। এ জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স করা হয়েছে।'

গঠিত টাস্কফোর্স গাজীপুর ও আশুলিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তার কাজ করছে।

শিল্প পুলিশের তথ্য অনুসারে, গাজীপুরে দুই হাজারের বেশি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা আছে। সেখানে কাজ করেন অন্তত ২২ লাখ শ্রমিক।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago