দ্রুত কারফিউ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্টার ফাইল ছবি

যত দ্রুত সম্ভব কারফিউ তুলে নেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কারফিউ জারি করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছি, তারা সহযোগিতা করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র আমরা ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ করেছি। আশা করছি, আগামী দুই থেকে চার দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে।'

মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কারফিউ রাখতে চাই না। থানায় হামলা হয়েছে, পুলিশদের হত্যা করা হচ্ছে, কেপিআই ধ্বংস করা হচ্ছে। এ কারণেই আমরা কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছি।'

'দেশের পরিবেশ ঠিক হয়ে গেলে সেনাবাহিনী তাদের নিজেদের  কাজে ফিরে যাবে,' যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'কারফিউ তুলে নেওয়া হবে এবং জনজীবন স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর জন্য কাজ করছি।'

'শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছে' মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা জানেন আন্দোলনের নামে কারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে। এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করতে উস্কানি দিয়েছে।'

'পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী ধৈর্য ধরে আন্দোলনের মোকাবিলা করেছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা নাশকতা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে,' যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'মামলা করা হচ্ছে। হামলা সুপরিকল্পিত ছিল। কখন মামলা করা হবে, কোথায় করা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। প্রতি ঘণ্টায় মামলা হচ্ছে। চার্জশিট পাওয়ার পর আমরা মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের মধ্যে আজ আর্থিক সহায়তা বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago