মুক্তিযোদ্ধা কোটার ন্যায্যতা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যা বললেন হাইকোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাজের অনগ্রসর অংশ হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি চাকরিতে তাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখার বিধানের ন্যায্যতা দিয়েছেন।

২০১৮ সালের পরিপত্রে বলা হয়েছিল, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন এই পরিপত্র বাতিলের রায় দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। 

রায়ের ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ বিবরণীতে এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছরে মুক্তিযোদ্ধারা যে দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে গেছেন তাতে করে তারা সমাজের অনগ্রসরতম অংশে পরিণত হয়েছেন। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিরা আইনগতভাবে কোটার অধিকারী হয়েছেন।

এছাড়া, জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ সমাজের অন্যান্য অনগ্রসর অংশের জন্য কোটা ব্যবস্থা রেখে সরকারকে তিন মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

আদালত অবশ্য বলেছেন, সরকার প্রয়োজন মনে করলে সরকারি চাকরিতে কোটার অনুপাত বা শতাংশ পরিবর্তন, কমাতে বা বাড়াতে পারে এবং কোনো কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারে।

তবে হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর গত ১০ জুলাই চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

14h ago