৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের আল্টিমেটাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: পলাশ খান/স্টার

সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩ম গ্রেডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরোপুরি বাতিল করা না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

এর আগে, ঢাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলা ভবনের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই মানববন্ধন শেষে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

ছবি: পলাশ খান/স্টার

সমাবেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভোগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারি চাকরিতে আমরা কোনো ধরনের কোটা চাই না, সম্পূর্ণ কোটা বাতিল চাই। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।'

তিনি আরও বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধারা সব ধরনের বৈষম্য থেকে দেশকে বাঁচাতে যুদ্ধ করেছেন। তারা চাকরিতে বৈষম্য ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদের বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হোক, তা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টি বৈষম্যমূলক। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করেই ২০১৮ সালে তা বাতিল করে দিয়েছিল। এখন সেটি আবার পুনর্বহাল করা হলে তা হবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। এতে মেধাবীরা বঞ্চিত হবেন।'

ছবি: পলাশ খান/স্টার

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে হাইকোর্টে গেছেন।

তারা অ্যাটর্নি জেনারেলকে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেবেন বলেও জানা গেছে।

এর আগে, গত ৬ জুন বিকেলে কোটাব্যবস্থা বাতিল চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন ও মল চত্বর এলাকা ঘুরে রোকেয়া হল ও শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

2h ago