চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন ৫.৩৬ শতাংশ বেড়েছে

চট্টগ্রাম বন্দর
স্টার ফাইল ফটো/রাজীব রায়হান

সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে কনটেইনার পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরে বন্দরটি আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারসহ ৩১ লাখ ৬৯ হাজার (প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা) কনটেইনার পরিবহন করেছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার।

চবক সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের মূল জেটি, কেরানীগঞ্জের পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল এবং ঢাকার কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে কী পরিমাণ কনটেইনার লোড ও আনলোড হয়েছে তা গণনা করে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে সমাপ্ত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও কনটেইনার পরিবহনের এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রমাণ।

সিমেন্ট ও সিরামিক খাত ব্যতীত সকল শিল্পের বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য, মেশিনারিজ, রাসায়নিক পণ্য এবং কাঁচামাল কনটেইনারের মাধ্যমে আমদানি করা হয়। তবে রপ্তানি পণ্য কেবল কনটেইনারের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বন্দরের কনটেইনারবাহী ও বাল্ক কার্গো পরিবহনে বার্ষিক ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বিদায়ী অর্থবছরে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১২ কোটি ৩২ লাখ টন কার্গো পরিবহন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর, যা আগের বছরে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টন ছিল।

ওমর ফারুক বলেন, জায়গা ও যন্ত্রপাতি সুবিধা বাড়িয়ে বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের কনটেইনার ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই বন্দরের বার্ষিক কনটেইনার পরিবহন ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ কমেছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৩২ লাখ ৫৫ হাজার কনটেইনার পরিবহন করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর, তখন বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

২০২০-২১ অর্থবছরে কনটেইনার পরিবহনে ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

২০২০-২১ অর্থবছরে মোট কনটেইনার পরিবহনের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৯৭ হাজার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ০৪ হাজার এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৯ লাখ ১৯ হাজার।

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago