কিন্তু বাস্তবে অত্যধিক জাহাজ ভাড়া, কনটেইনার পরিবহন ও পণ্য খালাসে দীর্ঘ সময়ের কারণে টার্মিনালটির সক্ষমতার বড় অংশ এখনো অব্যবহৃত।
৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি আগুনের পেছনে নাশকতা বা উদ্দেশ্যমূলক কোনো কারণ খুঁজে পায়নি।
মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে করে প্রতি বছর আমদানি করা ১০ কোটি টনের বেশি পণ্য, সার ও শিল্প কারখানার কাঁচামাল খালাস করে ৪০টি অভ্যন্তরীণ নৌপথে পাঠানো হয়।
দুপুরে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় গিয়েছিলেন শান্ত।
২০২৪ অর্থবছরে বন্দরটি আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারসহ ৩১ লাখ ৬৯ হাজার (প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা) কনটেইনার পরিবহন করেছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার।
প্রথম বাবা হওয়ার প্রসঙ্গ এলে হাস্যজ্বল মুখে শফিকুল বলেন, 'সবচাইতে বড় বিষয় মেয়ের বাবা হয়েছি। অবশেষে, তার সাথে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ। এই সুখানুভুতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।'
ছেলে ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদের প্রিয় সব খাবার রান্না করেছেন মা জোৎস্না বেগম।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সব এসে না পৌঁছানায় এবং বেশ কিছু আইনি ছাড়পত্র যোগাড় করা শেষ না হওয়ায় সৌদি কোম্পানিটি জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
আপাতত জাহাজের পেশাতেই আর ফিরতে চান না ২৮ বছর বয়সী নূর উদ্দিন। ওই জাহাজে জেনারেল স্টুয়ার্ট হিসেবে কর্মরত তিনি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় থাকেন তার মা, স্ত্রী এবং তাদের আড়াই বছরের সন্তান।
জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান লুৎফা আরা।
‘তারপরও একসঙ্গে এতগুলো প্রিয় মুখ দেখার লোভটা আপাতত সামলেই নিতে হচ্ছে’
নাবিকরা সেমাই রান্না করেছেন, কিন্তু দুপুরে গতকালকের বাসি খাবার খেতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
অপর পাঁচ নাবিক চট্টগ্রামে আসার পরে সাইন অফ করতে চান বলে জানা গেছে।
'আমাদের শুধু একটাই প্রত্যাশা আমাদের সন্তানেরা যেন খুব দ্রুত নিরাপদে ফিরে আসে'
ইউরোপীয়দের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের আদুরে নাম ছিল ‘পোর্তে গ্রান্দ্রে’ বা ‘গ্র্যান্ড পোর্ট’ যদিও এটি একটি পোতাশ্রয় হিসেবে বিবেচিত হতো। ঐতিহাসিকদের কাছে চট্টলা বন্দিত হয়েছে ‘সৌন্দর্যের রানি’ হিসেবে।
দিনরাত প্রার্থনা করছেন যাতে অচিরেই এই সংকট কেটে যায়, সুস্থ শরীরে যাতে ছেলে ফিরে আসে
ছেলের বরাত দিয়ে মা বলেন, ‘আজ দুপুরে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে পৌঁছালে জলদস্যুদের আগের দলটি জাহাজ থেকে নেমে যায় এবং আরেকটি দল জাহাজে ওঠে।’
‘জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন বড়জোর যেতে পারে।’