পাহাড় ধসে মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়ক অচল, সাজেকে আটকা শতাধিক পর্যটক

সাজেক সড়কে পানিতে ডুবে যায় সেতু (বামে), মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে পাহাড় ধসের পর ওই এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। 

এদিকে, পাহাড়ি ঢলের কারণে সাজেক সড়কের দুটি সেতু পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সাজেকে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সড়কে যান চলাচল সচল রাখতে কাজ চলছে। নদীর পানি বৃদ্ধিতে বাঘাইছড়ি পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।'

স্থানীয়রা জানায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার সকালের দিকে বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের চার, পাঁচ, নয় কিলোমিটার এলাকায় ও দুই ঢিলা এলাকাসহ ৬-৭টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। এতে সকাল থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। 

অপরদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সাজেক-বাঘাইহাট সড়কের বাঘাইহাট ও মাচলং সেতুতে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ আছে। 

সাজেক পর্যটনের হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্র চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতুতে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ। এতে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ১২০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।'

এর মধ্যে বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

ওসি ইশতিয়াক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সড়কের মাটি সরাতে সময় লাগবে। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দুইদিন লেগে যাবে।

খাগড়াছড়ি

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ১০ গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙ্গামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জেলা সদর ও দিঘীনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

16h ago