ঘূর্ণিঝড় রিমাল: প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ২০টি জেলার খসড়া হিসাবে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
আজ রোববার ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০টি জেলার খসড়া হিসাব পেয়েছি, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে এসব জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে এ সংক্রান্ত চুড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আগামী ৯ জুন নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয় ও ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এতে বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মহিবুর রহমান বলেন, 'এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, নয় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।'
এছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
Comments