আল-আকসা হাসপাতালে জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংকটে রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কা

বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চিকিৎসা পেতে অপেক্ষা করছেন আল-আকসা হাসপাতালের রোগীরা। ছবি: এএফপি
বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চিকিৎসা পেতে অপেক্ষা করছেন আল-আকসা হাসপাতালের রোগীরা। ছবি: এএফপি

তীব্র জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতাল। হাসপাতালের জেনারেটরগুলো বর্তমান বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সেখানে ভর্তি থাকা ৬০০ রোগীর জীবন সংশয়ে পড়েছে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেইর এল-বালাহ অঞ্চলের এই হাসপাতালে রোগীর ভিড় থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের অভাবে বেশিরভাগ উপকরণ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।

হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল-দেকরান আল জাজিরাকে বলেন, চিকিৎসাকর্মীরা প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও সরঞ্জাম ছাড়াই যতটূকু সম্ভব চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আল-দেকরান বলেন, 'এ কারণে অনেক অসুস্থ ও আহত মানুষের মৃত্যু হবে।'

তিনি জানান, কিছু রোগীকে মেঝেতে বসিয়ে বা শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছিল, আর দুই ঘণ্টার মধ্যে আল-আকসা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে রাতে দেখা যায় এই হাসপাতালের বেশিরভাগ অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হাসপাতালে এ মুহূর্তে ৬০০ রোগী ও আহত মানুষ ভর্তি আছেন এবং আরও ৬৫০ জন অসুস্থ মানুষ কিডনি ডায়ালাইসিস নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হলে তাদের জীবনের ওপর ঝুঁকি আসবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আল-আকসা হাসপাতাল বন্ধ হলে দেইর আল-বালায় আর মাত্র দুইটি হাসপাতাল চালু থাকবে। সমগ্র গাজা জুড়ে ৩৬ হাসপাতালের এক তৃতীয়াংশও এ মুহূর্তে চালু নেই। এবং এর মধ্যেও বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আংশিক কার্যক্রম চালু আছে।

বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চিকিৎসা পেতে অপেক্ষা করছেন আল-আকসা হাসপাতালের রোগীরা। ছবি: এএফপি
বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চিকিৎসা পেতে অপেক্ষা করছেন আল-আকসা হাসপাতালের রোগীরা। ছবি: এএফপি

রাফায় নতুন করে হামলা শুরুর ফলে অসংখ্য মানুষ দক্ষিণ গাজার শহরটি ছেড়ে দেইর আল-বালায় এসেছেন। এ পরিস্থিতিতে হাসপাতাল বন্ধ হলে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দৈনিক ৫ হাজার লিটার জ্বালানির চাহিদার বিপরীতে বুধবার ৩ হাজার লিটার জ্বালানি পেয়েছে হাসপাতালটি।

৬ মে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফা সীমান্ত ক্রসিং অবরুদ্ধ করে ফেলে। এটাই ছিল মিশর থেকে গাজায় জ্বালানি আসার মূল প্রবেশপথ।

গাজার হাসপাতালগুলোকে চালু রাখতে দৈনিক বিশ লাখ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন।

কিন্তু ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউর প্রধান ফিলিপে লাজারিনি জানান, ৬ মের পর জ্বালানি আসা প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। জাতিসংঘ রোববার ৭০ হাজার লিটার ও মঙ্গলবার এক লাখ লিটার জ্বালানি পেয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago