পুলিৎজারে প্রাধান্য পেল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন
গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতার ছবি-সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকতার 'নোবেল' হিসেবে খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স ও নিউইয়র্ক টাইমস।
বার্তাসংস্থা এএফপি আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার পেয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের হামাসের অতর্কিত হামলা ও 'ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক ও সহিংস প্রক্রিয়া'র কভারেজের জন্য সংবাদমাধ্যমটি এই পুরষ্কার পেয়েছে।
হামাসের হামলা ও ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার ছবি প্রকাশের জন্য ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে পুলিৎজার পেয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। গাজা প্রসঙ্গে রয়টার্সের ছবি প্রকাশের ধরনকে পুলিৎজার কমিটি 'খাঁটি ও জরুরি' হিসেবে আখ্যায়িত করে এই খেতাব দেয়।
এবারের পুলিৎজারে 'গাজার যুদ্ধের সংবাদ সরবরাহকারী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের' বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
কমিটি জানায়, 'এই যুদ্ধ কবি ও লেখকদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। পুলিৎজার পুরষ্কার সাংবাদিকতা, শিল্প ও লেখনীর প্রতি সম্মান জানায়। (এই যুদ্ধে) মানবিক অভিজ্ঞতার অমূল্য নিদর্শন হারিয়েছি, যার জন্য আমরা শোক প্রকাশ করছি।'
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এই খেতাব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ডেকে আনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম বিতর্কের মুখে পড়েছে।
পুলিশ বল প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু সরিয়ে নেয়। এ সময় হাজারো শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন। পুলিশি অভিযান চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সক্রিয়ভাবে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত, তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়।
কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীদের পরিচালিত দুইটি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পাতায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনের সংবাদ প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের 'নিপীড়ন' নীতির সমালোচনা করা হয়।
পুলিৎজারের নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে নাথান থ্রালের বই 'অ্যা ডে ইন দ্য লাইফ অব আবেদ সালামা: অ্যানাটমি অব অ্যা জেরুজালেম ট্র্যাজেডি' পুরষ্কার পায়। বইটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দা ও একজন ফিলিস্তিনি পিতা আবেদ সালামার জীবনের একটি দিন নিয়ে বইটি লেখা।
এই ফিলিস্তিনি পিতার পাঁচ বছর বয়সী সন্তান স্কুল বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়। নিরাপত্তা নীতিমালার জটিলতায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়।
Comments