সাকুলেন্টের যত্নআত্তি

ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন যখন ঘরের সাজসজ্জার, তখন ইন্ডোর প্ল্যান্ট চলে আসে অনায়াসে। এটা শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, বরং অন্দরের পরিবেশও ভালো রাখে। নিস্তেজ ঘরও প্রাণবন্ত করে রাখে ইন্ডোর প্ল্যান্ট। ঘরের পাশাপাশি ভালো রাখে স্বাস্থ্যও।

ইন্ডোর প্ল্যান্টের মধ্যে অন্যতম সাকুলেন্ট। এটি একটি বিশেষ ধরনের কাঁটাজাতীয় গাছ। এর রয়েছে বিভিন্ন রঙ ও আকার। প্রায় সব ধরনের সাকুলেন্ট প্ল্যান্টই ঘরে রাখা যায়। তবে এর যত্ন সাধারণ গাছের থেকে কিছুটা ভিন্ন। যেহেতু এগুলো মরুভূমির গাছ, অর্থাৎ এদের পানি প্রয়োজন হয় খুব কম, তাই অতিরিক্ত পানির কারণে এরা মারা যায়। পরিবেশগত কারণে এর পাতা, কাণ্ড ও মূল খাদ্য-পানি সঞ্চয় করে রাখে।

সাধারণত তিন-চার বছর বয়স হলে সাকুলেন্টে ফুলের দেখা পাওয়া যায়। আমাদের দেশের ঘৃতকুমারী ও পাথরকুচি পরিচিত সাকুলেন্ট। এনিভারিয়া, একেভেরিয়া, সেডাম সেন্সিভারিয়া জাতের সাকুলেন্ট আপনার কাছের যেকোনো নার্সারিতেই পেয়ে যাবেন।

সাকুলেন্টের যত্ন

• সপ্তাহে একদিন সামান্য পানি দিন। এগুলো যেহেতু পানি জমিয়ে রাখে, তাই অনেক সময় উপরের অংশের মাটি শুকনো মনে হলেও নিচের অংশের মাটি ভেজা থাকে। এমন অবস্থায় আবার পানি দিলে গাছের শেকড় পচে যায়। খেয়াল রাখবেন কোনোভাবেই যেন অতিরিক্ত পানি না দেওয়া হয়। দুই সপ্তাহে একদিন পানি দিলেও এরা ভালো থাকবে।

• সাধারণ নিয়ম হিসেবে মাটি সম্পূর্ণ শুষ্ক না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় পানি না দেওয়া ভালো। মাটিতে আপনার আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করে নিন। প্রায় দেড় ইঞ্চি ভেতরে এটি স্যাঁতসেঁতে কি না তা দেখতে পারেন। যদি এটি শুষ্ক মনে হয়, তবেই পানি দিন।

• যেহেতু এরা প্রকৃতিগতভাবে রোদে থাকতে পছন্দ করে, তাই এদের ঘরের এমন স্থানে রাখুন যেখানে সরাসরি রোদ পড়ে।

• পাতা থেকে সাকুলেন্টের স্বাস্থ্য বুঝতে হয়। তাই গাছের রঙ বা পাতার রঙ বদলে গেলে বুঝবেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি দেওয়া হয়েছে। সুস্থ সাকুলেন্টের পাতা কখনো শুকিয়ে যাবে না।

• সাকুলেন্ট সবসময় বালি মেশানো ঝরঝরে মাটিতে রাখতে হবে।

• এর জন্য এমন টব বেছে নিতে হবে, যেখান থেকে সহজে পানি বেরিয়ে যায়।

• পোকা আক্রমণ করলে পানিতে নিম অয়েল মিশিয়ে স্প্রে করে দিন।

• কিছুদিন পর পর টব পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। পানি থাকলে সেটা ভালোভাবে মুছে তারপর গাছ রাখুন।

কোথায় পাবেন

গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে ব্র্যাকের নার্সারিতে প্রচুর সাকুলেন্টের দেখা পাবেন। দোয়েল চত্বরের নার্সারি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভেতরের নার্সারি, ধানমন্ডি-আগারগাঁওয়ের নার্সারিগুলোতেও নানা রঙের ও আকারের সাকুলেন্টের দেখা মিলবে। এলাকার নার্সারিগুলোতেও এখন সাকুলেন্ট পাওয়া যায়। তা ছাড়া ইন্ডোর প্ল্যান নিয়ে কাজ করে এমন প্রায় প্রতিটি পেজেই পাওয়া যায় সাকুলেন্ট।

গাছ কে না ভালোবাসে! কিন্তু কাজের জন্য কিংবা ঘরের বাইরে বেশি সময় থাকায় অনেকেই গাছ রাখতে পারেন না। তাদের জন্য আদর্শ সাকুলেন্ট। ঝুট-ঝামেলা ছাড়া ঘরের ভেতরেই গাছগুলো আপনার সঙ্গী হয়ে থাকবে। মন রাখে প্রফুল্ল। তাই আর দেরি কেন? এই ঈদে ঘর সাজুক সাকুলেন্ট প্ল্যান্টে।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago