খণ্ডবিখণ্ড প্রবীণ বটের আর্তনাদ

জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তদাগ ক্রমশই আমরা ভুলে যাচ্ছি। উত্তাল পাবলিক গ্রাফিতিগুলোর মর্ম আড়াল করছি। পরতে পরতে জারি হচ্ছে বিশৃঙ্খল টুকরো টুকরো নয়া কর্তৃত্ববাদ। গাছপালা, পশুপাখি, পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা জানিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে বহু গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। কিন্তু গাছ বাঁচানোর বার্তা রাষ্ট্র বেমালুম গায়েব করছে। ২০০ বছরের প্রবীণ গাছ থেকে শুরু করে ভূমিষ্ঠ বীজদানা সবই অরক্ষিত। মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের আলমমীরেরকান্দি এলাকার এক প্রবীণ বটগাছ করাত দিয়ে কেটে ফেলার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রাষ্ট্র চাইলেই গাছটি রক্ষা করা যেত। এমনকি রাষ্ট্রীয় আইনে 'পবিত্র গাছ' রক্ষায় স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। মাদারীপুর প্রশাসন, বনবিভাগ কিংবা স্থানীয় সরকার কেউ কি এসব আইন বিষয়ে অবগত নন?
আইন বাদ দিলাম। কোনো এলাকার প্রবীণ একটি গাছ বাঁচাতে নাগরিক হিসেবেও কি আমাদের ভেতর কোনো দায় বা দরদ তৈরি হয় না? পাবলিক জবাবদিহি থেকে আর কত নিজেদের সরিয়ে রাখব আমরা? ৫ মে সকাল থেকে গাছটি কাটা শুরু হয়, ভিডিও ভাইরাল হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তর্ক শুরু হয়। কিন্তু রাষ্ট্র এই বৃক্ষনিধন বন্ধে তৎক্ষণাৎ এগিয়ে আসেনি। বনবিভাগ ও প্রশাসন এসেছেন পরেরদিন, যখন গাছটির সারাশরীরে নৃশংস জখমের দাগ। গোড়া ও প্রধান শেকড় বাদে প্রায় অংশই কেটে ফেলা হয়েছিল।
গাছটি কেন কাটা হলো? গণমাধ্যমের অধিকাংশ প্রতিবেদন যেন 'ধর্ম বনাম গাছ' এই ধরনের বাইনারি বিভাজনকেই কেবল উসকে দেয়। অথচ গাছ ও পরিবেশ সুরক্ষায় সব ধর্মই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। (সুরা কাফ, আয়াত: ৭) আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টিবর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ব শস্যরাজি উদগত করি। (সুরা কাফ, আয়াত: ৯) অনর্থক বৃক্ষনিধন ও বনউজাড়কে ইসলামে গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইসলামে বহু নজির আছে, মহানবী (স.) সৈন্যদের কঠোরভাবে নির্দেশ দিতেন যাতে কেউ কোনো গাছপালা ও শস্যখেত ধ্বংস না করে।
শিরখাড়া ইউনিয়নে যারা বৃক্ষ কেটেছেন, তারা বৃক্ষ সুরক্ষায় ইসলামের অবিস্মরণীয় সব বার্তা অস্বীকার করেছে। তারা 'ইসলামকে' অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে সেই গ্রামের প্রাকৃতিক জীবনবিন্যাস ধ্বংস করেছে। গাছ হত্যার ভেতর দিয়ে মানুষ হিসেবে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতবিক্ষত করছে। প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস থামাতে ইসলাম স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
'বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ২০১২' রক্তাক্ত মুমূর্ষু বটগাছটির মতো 'পবিত্র ও স্মারক বৃক্ষ' সুরক্ষায় সুস্পষ্ট বিধান আছে। মাদারীপুর প্রশাসন এবং বনবিভাগকে এসব রাষ্ট্রীয় বিধান মানতে হবে। যারা গাছটি কেটেছেন তাদের বহুজনের সঙ্গে প্রশাসনের কথা হয়েছে, ভিডিও আছে, এলাকাবাসী তাদের চেনেন। বহুখণ্ডিত গাছটির প্রাণরক্ষায় রাষ্ট্র সক্রিয় পদক্ষেপ নিক। যারা দীর্ঘসময় ধরে দায় ও দরদের ভেতর দিয়ে গাছটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সেসব বৃক্ষপ্রাণ জনতা এবং ১০ গ্রামের মানুষ, স্থানীয় সরকার, তরুণ প্রতিনিধি, রাজনৈতিক-সামাজিক-পরিবেশ সংগঠন, গণমাধ্যম এবং প্রশাসন সবাইকে নিয়ে বনবিভাগ গাছটি বাঁচাতে এবং এর নিরাপদ বিকাশে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করুক।
কুমার নদের পাড়ে কয়েকশত বছর ধরে বিকশিত হয়েছে বটগাছটি। এলাকার এক গুরুত্বপূর্ণ কিস্টোন প্রজাতি। কারণ গাছটি শত সহস্র মানুষের জীবনে বহুমুখী অবদান রেখে চলেছে। গাছটির ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে আvx বহু বুনো প্রাণ-প্রজাতি। এই বটের ছায়ায় ক্লান্ত পথিক, কৃষক-শ্রমিক, প্রবীণ-শিশুরা বিশ্রাম নেয়। এখানে বসে মেলা, গ্রামীণ আড্ডা কিংবা গানের আসর। সনাতন ধর্মাবলম্বী ও বহুবিশ্বাসীজনেরা গাছের তলায় মানত করেন নানামুখী মুক্তির আশায়। কখনো পূজা নৈবেদ্য।
গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাছটি কাটায় গ্রামবাসীরা 'ব্যথিত'। গ্রাম ছাড়িয়ে গ্রাম, দশগ্রামের মানুষ জানে পাখি-পতঙ্গ ভরপুর এই ছায়াময় গাছের কথা। গাছটি ওই জনপদের সাক্ষী, অবলম্বন ও সংহতির প্রতিজ্ঞা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ কেন কিছু লোকজনের মনে হলো গাছটি কাটা দরকার? আর এই নির্দয় অন্যায় করতে কেন তারা 'ধর্মকে' টেনে এনে মিথ্যাচার করলেন?
এর উত্তর খুঁজতে আমাদের কলোনিয়াল-লিগ্যাসি, বাইনারি-বিভাজন আর নিওলিবারেল বাহাদুরির গভীরে যেতে হবে। গাছের শরীরে অন্যায় কোপ দিতে নানাসময়ে কখনো 'উন্নয়ন', কখনো বা 'প্রয়োজন' আবার কখনো 'ধর্মকে' ক্ষমতার মোড়কে ব্যবহার করা হয়েছে।
গণমাধ্যম জানিয়েছে, বটগাছটি সত্তার হাওলাদারের জমিতে পড়েছে। ইউএনওকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যম জানায়, জমির মালিক নতুন বাড়ি বানানোর জন্য গাছটি স্থানীয় এক মাদ্রাসার কাছে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন এবং মাদ্রাসার লোকজন তা কেটে নিয়েছেন। ইউএনও একইসঙ্গে বলেছেন, 'স্থানীয়রা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাছটি কেটেছেন।'
২০০ বছরের এক প্রবীণ গাছ কেটে বাড়ি বানানো বা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্য হাসিল করার মর্মার্থ কী? আজকের শিশুরা কিংবা জেন-জি প্রজন্ম এই ঘটনা থেকে কী বার্তা পেল? মানুষ তার মুনাফা আর ভোগবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে ২০০ বছরের এক প্রবীণ বটগাছ কেটে ফেলতে পারে।
গাছটি কাটার আগে গাছে বসবাসরতদের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি? গাছটিতে বহু পাখির বাসা ছিল। বাসাগুলোতে বহু ছানা পাখি ছিল। ডিম ছিল। নিজেদের 'খায়েশ' বা 'বাহাদুরি' বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পাখি-পতঙ্গদের ঘরহারা, পরিবারহারা কিংবা এতিম করবার দায়ভার কে নেবে? যারা নির্দয়ভাবে গাছটি কাটলেন, তারাও কোনো না কোনোভাবে বটগাছটির কাছে ঋণী।
গ্রামীণ নিম্নবর্গ ও আদিবাসী জনগণ সহস্র বছর ধরে কেবলমাত্র বিশ্বাস আর অনুশীলনের ভেতর দিয়ে দুনিয়ার সহস্র প্রাণ-প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত রাখছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের সুড়লা মৌজায় তেভাগা আন্দোলনের সাক্ষী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেশের প্রবীণতম তেঁতুল বৃক্ষ। কমলগঞ্জের কুরমা চাবাগানের প্রবীণ অশ্বত্থ কিংবা কাশিয়ানীর হিরণ্যকান্দির শতবর্ষী আমগাছ জনপদ ও সংস্কৃতির সাক্ষী।
সংবিধানের ১৮(ক) ধারায় উল্লেখ আছে, 'রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন'। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য সনদ ১৯৯২, রামসার ঘোষণা, সাইটেস সনদ, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কিংবা ২০২১ সনে গ্লাসগো সম্মেলনে নেওয়া বিশ্বের বৃক্ষ ও বন সুরক্ষা নীতি সই করে বাংলাদেশ পরিবেশ ও বৃক্ষ সুরক্ষায় বৈশ্বিক অঙ্গীকার করেছে।
তাহলে বটগাছটি যখন কাটা শুরু হলো তখন কেন ইউনিয়ন পরিষদ বা স্থানীয় প্রশাসন সেটি রুখে দাঁড়াল না? এ ঘটনা স্পষ্টত প্রমাণ করেছে ২০০ বছরের বটগাছটি সুরক্ষায় স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ছিল না। গাছটি যেহেতু ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় পড়েছে, একইসঙ্গে এলাকার প্রাকৃতিক ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত যারা, তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার ছিল।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের চতুর্থ অধ্যায়ের ২৩(১) ধারায় উল্লেখ আছে, '..সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সরকারি বন, কোন সংস্থার অধীন ভূমি, খাসজমি বা কমিউনিটির মালিকানাধীন ভূমিতে অবস্থিত বৃক্ষ বা কুঞ্জবন যা সাংস্কৃতিক, প্রথাগত, ধর্মীয় বা স্মৃতিস্মারক হিসাবে চিহ্নিত ও ব্যবহৃত এবং যা বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসাবে উক্ত এলাকায় পরিচিত তা উক্ত ভূমির মালিক, সংস্থা বা ব্যক্তির আবেদনক্রমে জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ বা ক্ষেত্রমত কুঞ্জবন হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে।' আইনের ধারা ১৪, ১৫ ও ১৬ এ উল্লিখিত বিধানাবলী ওই ধারার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
যেমন: পবিত্র বৃক্ষ কাটা বা বিনষ্ট করা যাবে না। যদি কেউ এই ধারা অমান্য করে তবে উল্লিখিত আইনের ৩৫ ধারা মতে, সেই অপরাধ জামিন অযোগ্য হবে এবং অপরাধীর জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে গত ১৯ মার্চ দেশব্যাপী পবিত্র ও স্মারক বৃক্ষ ও কুঞ্জবন শনাক্তকরণ, তালিকাকরণ এবং ঘোষণার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। মাদারীপুর প্রশাসন ও বনবিভাগ কেন ওই বটগাছটিকে তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা শুরু করেননি? এসব জিজ্ঞাসা ও দায়হীনতা কোনোভাবেই অন্য কোনো বাইনারি দিয়ে আড়াল করা বা পাশ কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
ইসলাম ধর্মে বৃক্ষ সুরক্ষার যেমন বহু বার্তা আছে, তেমনি অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম কিংবা পুস্তকবিহীন ধর্মীয় জীবনে বৃক্ষ সুরক্ষার বহু দার্শনিক জিজ্ঞাসা ও সংরক্ষণবিধি আছে। আলমমীরের কান্দি গ্রামের ওই বটের কথা বারবার আমাকে গজিনা গ্রামের আরেক গাছের নিদারুণ স্মৃতির কাছে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের রাঘদী ইউনিয়নের গজিনা গ্রামের এক আফ্রিকান মেহগনি গাছ 'কথা বলার অপরাধে' পুলিশের উপস্থিতিতে কেটে ফেলা হয়েছিল। কেননা কথিত ছিল, সেই গাছের শরীরে কান পাতলে কান্না শোনা যেত, শিশুরা গাছের সঙ্গে কথা বলতো।
বরাবরই বহুজাতিক খনন, বৃহৎ স্থাপনা, কারখানা কিংবা বিনোদনকেন্দ্রের নামে কাটা হয় বহু গাছ। শাল গাছ কেটে রাবার বাগান কিংবা গ্যাস খননের নামে লাউয়াছড়ার লাখো গাছ অঙ্গার হয়েছে। ঢাকার ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বহু দেশীয় প্রজাতি কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য পান্থকুঞ্জের প্রায় ২০০০ গাছের কাটা হয়েছে। ক্ষমতা ও কর্তৃত্ববাদ যেমন গাছ হত্যা করে, একইসঙ্গে গাছ বাঁচাতে ঐতিহাসিকভাবে এই জনপদে জারি আছে নিম্নবর্গীয় প্রতিরোধ।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের পবিত্র বটবৃক্ষ 'কালাচাঁদ ঠাকুরের গাছ' কাটার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ সংগঠিত করে ২০১২ সালে সেই গাছ রক্ষা করেছিল। নেত্রকোণার দূর্গাপুরে আগ্রাসী গাছের বাগানের বিরুদ্ধে শালগাছ বাঁচাতে অজিত রিছিল গড়ে তুলেছিলেন মেনকীফান্দা আন্দোলন। শ্রীমঙ্গলের নাহার খাসিপুঞ্জির চার হাজার গাছ বাঁচাতে খাসি আদিবাসীরা কিংবা কক্সবাজারের শিলখালীর গর্জন গাছ বাঁচাতে স্থানীয় বনবিভাগ লড়েছিলেন দীর্ঘদিন। বৃক্ষ সুরক্ষায় অযুত-নিযুত নিম্নবর্গীয় প্রতিরোধই আমাদের জনপদের বিউপনিবেশিক বয়ান।
শিরখাড়ার কুমার নদের ধারে যারা প্রবীণ বটকে কেটে ফেলতে উন্মত্ত হলেন, তারা কেবল এক বাইনারি অন্যায় বিশৃঙ্খল নিওলিবারেল কর্তৃত্ববাদই হাজির করলেন। শিরখাড়ার মুমূর্ষু বটবৃক্ষের ঘটনায় আমাদের শির কোনোভাবেই খাড়া থাকে না, গ্লানি ও বিষাদে নুইয়ে পড়ে। আমাদেরই সহস্র জীবন জাগিয়ে রাখতে, জানি খণ্ডবিখণ্ড মুমূর্ষু বটগাছ জীবন তুলে দাঁড়াবেই আবার। কেটে ফেলা বটের ঝুরি হয়ে প্রাণ-প্রকৃতির সঙ্গে বসবাসের জীবনপ্রণালী নিয়ে আমরাও কি দাঁড়াব একসঙ্গে?
পাভেল পার্থ: গবেষক ও লেখক
[email protected]
Comments