সিরিজ জয়ের মিশনে তাইজুল নাকি রিশাদ?
ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিন রিশাদ হোসেন ও তাইজুল ইসলাম দুজনেই মাঠে এসেছিলেন। আগের দিন ম্যাচ না খেলায় রিশাদের আসা অনুমিত। ম্যাচ খেলেও বিশ্রাম না নিয়ে তাইজুলের আসার কারণ জুতসই পারফরম্যান্সের ঘাটতি।
প্রথম ওয়ানডেতে বোলার একদমই ইমপ্যাক্ট রাখতে পারেননি, উইকেট পাননি এবং রান খরচ করেছেন ওভারপ্রতি ৬.৭৫ করে তিনি হলেন তাইজুল। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই ডানহাতি। তাইজুলকে খেলানোর কারণ হয়ত সেটাই ছিলো। ডানহাতি ব্যাটারদের ভিড়ে অফ স্পিনে খারাপ করেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। লঙ্কানদের প্রথম ছয়ের একমাত্র বাঁহাতি চারিথা আসালাঙ্কার উইকেট নিয়েছেন, রান আটকে সহায়ক ভূমিকাও পালন করেছেন।
তাইজুলের কাছ থেকে সেই জায়গায় প্রত্যাশা ছিলো বেশি, বাঁহাতি স্পিনার করেছেন হতাশ। আলগা বল করেছেন নিয়মিত। দিনের আলোয় বল করলেও জায়গা মত ফেলতে পারছিলেন না। শিশিরে বল করতে হলে তাকে নিয়ে আরও বিপদে পড়তে হতে পারত। ৮ ওভারে ৫৪ রান দেওয়া তাইজুলকে দিয়ে ১০ ওভার পুরো করার সাহস করেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
এই বাস্তবতায় লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন হতে পারেন সমাধান। ডানহাতি ব্যাটারদের জন্য লেগ স্পিনও কার্যকর হওয়ার কথা। সঙ্গে রিশাদের ব্যাটিং মিলবে বোনাস হিসেবে।
বৃহস্পতিবার অনুশীলনে তাইজুল-রিশাদ দুজনকে নিয়েই কাজ করেছেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাইজুলের বোলিং শেষ হলে তার ব্যাটিং নিয়েও নানা পরামর্শ দিতে দেখা যায় হাথুরুসিংহেকে। এক ম্যাচ খারাপ করাতেই কাউকে একাদশ থেকে ছুঁড়ে নাও দিতে পারেন তিনি।
রিশাদ টি-টোয়েন্টিতে ভালো করলেও ওয়ানডেতে এখনো পরীক্ষিত না। তার ওয়ানডে অভিষেক নিউজিল্যান্ড সফরে। সেখানে দুই ম্যাচ খেললেও উইকেট পাননি। কন্ডিশনও হয়ত একটা কারণ ছিলো। তবে চার ওভার বোলিং আর দশ ওভার বোলিংয়ের মধ্যে আছে বেশ খানিকটা ফারাক।
রিশাদ তাইজুল দুজনকে বেছে নেওয়ার পেছনে যুক্তি আছে আবার বাইরে রাখার পক্ষেও যুক্তি আছে। বাংলাদেশ দল শুক্রবার কোনটা করে দেখার বিষয়।
এই একটা পজিশন ছাড়া একাদশে আর কোন বদলের সম্ভাবনা কম। টপ অর্ডার থেকে রান না এলেও এত দ্রুত বদল আনার পথে হাঁটবে না বাংলাদেশ। পেস আক্রমণে প্রথম ওয়ানডের তিন পেসারই ভালো করেছেন নানান ফেইজে। মোস্তাফিজুর রহমানকে তাই আরেকটা ম্যাচ হয়ত দ্বাদশ ব্যক্তি হয়েই কাটাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন/তাইজুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
Comments