প্রতিশ্রুতি দিয়েও পোশাকের দাম বাড়াননি বিদেশি ক্রেতারা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিবিএস, উৎপাদন,
স্টার ফাইল ফটো

তৈরি পোশাক কারখানার ৭৯ দশমিক এক শতাংশ মালিক বলেছেন—বিদেশি ক্রেতারা এখনো বাংলাদেশি পোশাকের দাম বাড়াননি। গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন মজুরি কার্যকর হওয়ার পর তারা তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে আরও দেখা যায়—দেরি ও অন্যান্য কারণে ২০২৩ সালে শুল্ক ও বন্ডের খরচ এর আগের বছরে তুলনায় ৪৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়েছে।

এ ছাড়াও, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিমের ক্রেতারা উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকায় গত বছর দেশের পোশাক কারখানাগুলোর সক্ষমতার প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ অব্যবহৃত ছিল।

আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতারা পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি বাস্তবায়নের পর পোশাকের দাম বাড়াননি বলেও জরিপে উঠে এসেছে।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর শতাধিক পোশাক কারখানার মালিকদের নিয়ে এই জরিপ চালায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া ফোরাম প্যানেল।

গতকাল বুধবার ঢাকা ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় জরিপের ফল তুলে ধরেন ফোরামের নেতা ফয়সাল সামাদ।

এক শ কারখানার মধ্যে ৬৬ কারখানার মালিক জরিপে অংশ নিয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে ফয়সাল সামাদ বলেন, 'গত বছর গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হলেও মালিকরা এখনো জ্বালানি সংকটে ভুগছেন।'

'বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের কারণে ২০২২ সাল থেকে পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি কমতে শুরু করে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'শক্তিশালী আর্থিক অবস্থা না থাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের কারখানাগুলো চলমান সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাত্র নয় শতাংশ কারখানায় পূর্ণ কার্যাদেশ ছিল, ৮২ শতাংশ কারখানার সক্ষমতার চেয়ে কম কার্যাদেশ ছিল এবং ছয় শতাংশ কারখানায় কোনো কার্যাদেশ ছিল না।

ফয়সাল সামাদ আরও বলেন, 'কোনো কোনো কারখানার মালিক বাধ্যতামূলক ঋণের ঝুঁকিতে আছেন। কেননা, অনেক ক্রেতা রপ্তানি পণ্যের ছয় থেকে সাত শতাংশ মূল্য এখনো পরিশোধ করতে পারেননি।'

আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় বিজিএমইএ নির্বাচনে বিজয়ী হলে ব্যবসায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত ও উৎস কর কমাতে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারের বিষয়ে সংগঠনটির পক্ষে প্রতিশ্রুতি দেন ফয়সাল সামাদ।

আসন্ন ২০২৪-২৬ মেয়াদের বিজিএমইএ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা চেয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

7h ago