গাজীপুরের ৯৫ শতাংশ পোশাক কারখানা খুলেছে

আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পোশাকশ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে দেখা গেছে। ছবি: স্টার

গাজীপুর মহানগর, টঙ্গী, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুরসহ জেলার বেশিরভাগ কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে।  

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর শিল্প পুলিশের এএসপি মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'গাজীপুরে শিল্পকারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে আজ কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের কোনো খবর আসেনি।' 

'তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বেতন দিতে পারে না বলে কারখানা বন্ধ রয়েছে, সেটা তাদের নিজস্ব সমস্যা। গাজীপুরের ৯৫ ভাগ কারখানাই আজ খুলেছে', বলেন তিনি।

আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পোশাকশ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে দেখা গেছে। কারখানার নিরাপত্তা রক্ষায় নিজস্ব কর্মী ছাড়াও শিল্প পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। 

গত সপ্তাহে গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানায় বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ চলে। এতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে শিল্প-নগরীতে। চলে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এসময় বেশ কিছু কারখানা সাধারণ ছুটি ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ ও কারখানা বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি। 

গাজীপুরের শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) এসআই রায়হান মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রীপুরে আজ সকালে এসকিউ কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে কাজে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া অন্য কোনো ঘটনা নেই।'

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি শফিউল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকরা কর্মস্থলে ফিরে উৎপাদন শুরু করেছে। এখন শিল্পাঞ্চলে স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।'

জেনফার বাংলাদেশ লিমিটেড ওষুধ কারখানার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারখানা চালু রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।' 

গাজীপুরের মহানগরীর পুবাইলে অবস্থিত এপিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম রেজা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত কিছুদিন শ্রমিকরা আন্দোলন করেছেন। কারখানা বন্ধ ছিল। আজ থেকে কারখানা খোলা। আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। অর্থনৈতিক সংকট চরমে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। ব্যাংক লোন দেয়নি।'

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে দুই হাজার ৬৩৩টি। এসব কারখানায় প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

10m ago