থানা-মালখানায় জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

শাহ আলী থানার বাইরে পড়ে থাকা জব্দকৃত তিনটি গাড়ি। ছবি: এসকে এনামুল হক/স্টার

সারা দেশের থানা এবং আদালতের মালখানায় জব্দকৃত আলামত ও জিনিসপত্র কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট।

পুলিশের মহাপরিদর্শককে জব্দকৃত জিনিসপত্র, আলামত ও মালামালের অবস্থা সম্পর্কে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একটি রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, প্রতিবেদন দাখিল না করলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগের আদেশ সত্ত্বেও জব্দ করা জিনিসপত্র, আলামত ও আর্টিকেলের অবস্থা সম্পর্কে হাইকোর্টে কোনো প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি বলে বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের জব্দকৃত জিনিসপত্র, আলামত ও আর্টিকেল সারা দেশের মালখানায় যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।'

সারা দেশের থানা ও মালখানায় জব্দকৃত আলামত, জিনিসপত্র ও আর্টিকেল কভিাবে সংরক্ষণ ও ধ্বংস করা হয় তা জানতে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট পুলিশ মহাপরিদর্শককে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আদালত সেই সময় এই প্রতিবেদন জমা দিতে ছয় মাসের সময় দিয়েছিলেন।

সারা দেশে থানা ও মালখানায় মূল্যবান গাড়ি ও যানবাহনসহ জব্দকৃত আলামত, জিনিসপত্র ও আর্টিকেল যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন আদালত।

রুলে বিবাদী করা হয়েছিল আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে।

এ বিষয়ে একই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল দেন।

২০২২ সালের ২৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন, যেখানে তারা জব্দকৃত আলামত, জিনিসপত্র এবং মূল্যবান গাড়ি ও যানবাহনসহ বিভিন্ন থানা ও মালখানায় নিরাপত্তাহীনভাবে পড়ে থাকা জিনিসপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণে আদালতের নির্দেশনা চান।

আইনজীবী মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, জিএম মুজাহিদুর রহমান মুন্না এবং ইমরুল কায়েস জনস্বার্থ মামলা হিসেবে হাইকোর্টে আবেদনটি জমা দেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
BNP demands national election by December 2025

BNP to sue election officials, CECs of last three polls

A three-member BNP team, led by its Standing Committee Member Salahuddin Ahmed, will file the complaint

48m ago