বিপিএল ২০২৪

বিপিএলে রশিদকে ঘিরে অনিশ্চয়তা, যা বললেন কুমিল্লা কোচ

Rashid Khan

এবারের বিপিএলের জন্য রশিদ খানের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু পিঠে অস্ত্রোপচার করানোর পর এখনও সেরে ওঠেননি আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার। সুস্থ হওয়ার পরও তিনি খেলতে আসবেন কিনা কিংবা এলেও কয় ম্যাচ খেলতে পারবেন তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তবে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন শোনালেন আশার বাণী।

রশিদ এর আগে দুবার খেলেছেন বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায়। দুবারই তাকে দেখা গিয়েছিল কুমিল্লার জার্সিতে। সব মিলিয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে তার শিকার ছিল ১৯ উইকেট। পাশাপাশি রান দেওয়ায় বরাবরের মতো কৃপণতা দেখান তিনি। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ সালের আসর দুটির পর বিপিএলে আর খেলেননি রশিদ। এবার তিনি কুমিল্লার সাথে ফের চুক্তিবদ্ধ হলেও তার বাংলাদেশে আসা নিয়ে আছে অনেক যদি-কিন্তু।

মাঝে রশিদকে বিপিএলে দেখা যায়নি অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ব্যস্ততার কারণে। গত ডিসেম্বর ও চলতি জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টিতে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর চোটের কারণে পিঠের নিচের অংশে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে রশিদকে। পুরো ফিটনেস ফিরে পেতে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে রশিদের খেলা নিয়ে তাই সংশয় থাকছেই। শনিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সালাহউদ্দিন বলেছেন, রশিদের খেলার সুযোগ রেখেই তারা দল সাজিয়েছেন, 'আমরা যেভাবে দলটা গুছিয়েছি, সেটাতে তার (রশিদ) খেলার সুযোগ আছে। এটা ভবিষ্যতেই বলা যাবে। তবে আমরা তো তাকে পুরো টুর্নামেন্ট খেলার জন্য নিইনি। আমাদের যখন দরকার, তখন যদি আসতে পারে, আমার মনে হয়, তাহলে খেলতে পারে সে।'

শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে এদিন মাস্কো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে কুমিল্লা। এবারের আসরের ফেভারিট দল তারাই। কারণ দেশি-বিদেশি তারকাদের উপস্থিতি। তবে পুরো স্কোয়াডকে পাওয়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার কোচ।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

19m ago