লিটনের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিকে ম্লান করে জিতল সিলেট
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন দাস ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিকে টেনে নিলেন আরও অনেকখানি। কিন্তু জনসন চার্লস খোলস ভাঙতে পারলেন না, মঈন আলি ফিরলেন শূন্য হাতে। তারা বল নষ্টের পর শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের আগ্রাসন যথেষ্ট হলো না। সামিত প্যাটেল-শফিকুল ইসলাম-বেনি হাওয়েলের দারুণ কিছু নিয়ন্ত্রিত ওভারের সুবাদে জয় তুলে নিল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বিপিএলে সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ১২ রানে হেরেছে কুমিল্লা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের জবাবে তারা করতে পারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান।
প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয়ের পর তীব্র উল্লাস করে সিলেট। যদিও এবারের আসর থেকে বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। এক ম্যাচ কম খেলে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া কুমিল্লার অবস্থান দুইয়ে।
বিফলে যায় সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে লিটনের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ৮৫ রান করে আউট হন শেষ ওভারের প্রথম বলে। ৫৮ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৭ চার ও ৩ ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে রাসেলকেও ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ১৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সিলেটের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল তানজিম ৩ উইকেট নেন ৩৩ রানে।
তবে কুমিল্লার কাজটা এর আগে কঠিন করে ফেলেন সামিত ও শফিকুল। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সামিত ১৫ ও শফিকুল ১৮ রান দেন। দুজনেই ধরেন একটি করে শিকার। শুরুতে খরুচে থাকলেও পরে তাদেরকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাওয়েল। ৩৬ রান খরচায় তারও প্রাপ্তি ১ উইকেট।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ইংল্যান্ডের হাওয়েল। সিলেটের ইনিংসের ছয়ে নেমে অপরাজিত ৬২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের ২১৬ টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার সর্বোচ্চ ইনিংস। দুইশ স্ট্রাইক রেটে ৩১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকান তিনি। তার কাঁধে চেপেই চ্যালেঞ্জিং পুঁজি মেলে দলটির।
রান তাড়ায় শক্তিশালী ও তারকাখচিত কুমিল্লার হয়ে ভীষণ হতাশ করেন চার্লস ও মঈন। ধুঁকতে থাকা চার্লস ২১ বলে ১২ রান করেন। মারতে পারেননি কোনো বাউন্ডারি। মঈন ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। তারা পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে না পারায় লক্ষ্য থেকে দূরে থামতে হয় বিপিএলের রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়নদের।
Comments