পোশাকশ্রমিকের মজুরি নির্ধারণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান জানাল আইএলও

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, আইএলও, পোশাকশ্রমিক, ন্যূনতম মজুরি,

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও প্রমাণের ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

আইএলও বলেছে, এই খাতে মজুরি নিয়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে আইএলও আরও প্রাণহানি ও জীবিকার ক্ষতি এড়াতে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আইএলও বলেছে, 'ন্যূনতম মজুরি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গঠনমূলক সংলাপ ও আলোচনায় অংশ নিতে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।'

'... এটি কেবল শ্রমিকদের যথাযথ জীবনযাত্রার মান নিশ্চয়তা দেয় না, তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ের স্থায়িত্বকেও বিবেচনা করে।'

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কাজকে স্বীকার করি এবং সব পক্ষকে সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে উত্সাহিত করি। ... এবং ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের উদ্বেগগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি।'

আইএলও বলেছে, বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় মজুরি নীতি ও মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি প্রমাণ-ভিত্তিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠনকে আমরা স্বাগত জানাই।'

আইএলও এমন এক সময়ে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড ইতোমধ্যে গত ৭ নভেম্বর আলোচনার পর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করেছে।

এর আগে, গার্মেন্টশ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে বিক্ষোভ শুরু করে এবং কিছু ইউনিয়ন নেতা ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের দাবি জানান।

তবে মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করলেও তা মানতে অস্বীকৃতি জানায় ইউনিয়ন নেতা-কর্মীদের একাংশ।

গত তিন দিনে প্রায় সব পোশাক কারখানা পুনরায় চালুর মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেও সর্বশেষ শ্রমিক অস্থিরতায় চার শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন।

গত ১২ নভেম্বর ইউনিয়ন নেতাদের একটি দল ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে তাদের আপত্তি জানিয়ে একটি চিঠি জমা দেয়। সেখানে তারা মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।

ন্যূনতম মজুরি বোর্ড জানিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ থেকে শুরু করে ১৪ দিন আপত্তি ও পরামর্শের কমিটি উন্মুক্ত থাকবে।

আর কোনো পরিবর্তন না হলে চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো কার্যকর হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন কাঠামোতে শ্রমিকরা বেতন পাবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

2h ago