১ লাখ টাকার জাল নোট বিক্রি হতো ২০ হাজার টাকায়

জাল নোট
জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করা চক্রটির ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে জাল নোট তৈরি ও বিক্রির মূল হোতাসহ একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়। 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ডেমরা, খিলগাঁও ও সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মূল হোতা আমিনুল হক ওরফে দুলাল (৪৩), আবদুর রাজ্জাক ওরফে দিদার (৩০), সুজন আলী (৪০) ও সাকিবুল হাসান (২১)।

র‌্যাব জানায়, চক্রটি ১ লাখ টাকার জাল নোট ২০-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত। তারা প্রায় ১ বছর ধরে জাল নোট তৈরি করছিল। এসব নোট মাছ বাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে জাল নোট তৈরি ও বিক্রির দিকে ঝুঁকেছিল।

তিনি আরও জানান, মূল হোতা আমিনুলের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অপর একটি চক্রের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা কম পুঁজিতে কম সময়ে বেশি লাভের আশায় জাল নোটের পরিকল্পনা করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা প্রথমে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে জাল নোট নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে। গ্রেপ্তার দিদার ওই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, আমিনুল জাল নোট ছাপিয়ে দিদারকে দিতেন। দিদার সুজনের সঙ্গে জাল নোট কেটে বান্ডিল করত। এক পর্যায়ে চক্রটি প্রতিদিন ২-৩ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করত।

ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমেই তারা জাল নোটের ক্রেতা খুঁজে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে দিত বলে র‍্যাব জানায়।

আমিনুল রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। আর দিদার হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। 

গ্রেপ্তার সুজন সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে এলাকায় জুতার দোকান চালাতেন। সাকিবুল রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন বলে র‍্যাব জানিয়েছে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Stuck in red, shipbreaking slow to turn green

Bangladesh began the green transition in 2017, when PHP Ship Recycling Yard became the first entity in the country to receive international green certification.

14h ago