মুক্তিযুদ্ধ

৩১ জুলাই ১৯৭১: এক আত্মত্যাগের রাত

কামালপুর যুদ্ধের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি: সংগৃহীত

'আক্রমণের দৃশ্য বর্ণনা করার মতো ভাষা আমার নেই। শত্রু অবস্থানের দিকে এগিয়ে চলেছি, পাশেই আমার বেতারযন্ত্র অপারেটর। শত্রু আমাদের অগ্রসরমান পুরো শরীর দেখতে পাচ্ছে, আমরা শুধু দেখতে পাচ্ছি তাদের বাঙ্কারের মধ্যে রাইফেল বা মেশিনগানের কালো নল আর গুলির ফ্লাশ।

একটি ছোট নালা পেরিয়ে, কাঁটাতারের বাধা অতিক্রম করে পাশাপাশি এগিয়ে চলেছি আমরা। মাইন ফিল্ডে পড়ে গেলাম। হঠাৎ অপারেটর সিরাজ মাটিতে পড়ে গেল, তার একটি পা অ্যান্টি পারসোনেল মাইনের আঘাতে উড়ে গেছে। একটি শেলের টুকরো আমার হাতের চাইনিজ স্টেনের বাঁটটি উড়িয়ে নিলো। কামান ও মর্টারের গোলায় চতুর্দিক আতশবাজির মতো আলোকিত হয়ে উঠেছে। গোলার বিকট শব্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে আমাদের হতাহতদের আর্তচিৎকার। সে এক ভয়াবহ দৃশ্য।

একটু পরেই আমার কোম্পানির টুআইসি সুবেদার খায়রুল বাশার হামাগুড়ি দিয়ে এসে জানাল, আমাদের অনেক সৈনিক হতাহত হয়েছে। ডেল্টা কোম্পানির ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনও শহীদ হয়েছেন।'

'রক্তে ভেজা একাত্তর' বইয়ে কামালপুরের প্রথম যুদ্ধের বিবরণীতে এমনটিই লিখেছিলেন মেজর হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বীর বিক্রম। মুক্তিযুদ্ধের ৩১ জুলাইয়ের অবিস্মরণীয় সেই যুদ্ধের এক পর্যায়ে গুরুতর আহতও হয়েছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও বিপজ্জনক যুদ্ধগুলোর একটি ছিল কামালপুরের যুদ্ধ। এটিই ছিল মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধ। ৪ মাসেরও বেশি স্থায়ী এই যুদ্ধে ৪ বার সেট পিস ও ২০ এর বেশি খণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কামালপুরের প্রথম যুদ্ধ ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম কনভেনশনাল ওয়্যার বা আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ। 

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম কামালপুর। মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা যেন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ না করতে পারে তাই ৬ জুন ৩১ বেলুচের ২ প্লাটুন সেনা ও ১ প্লাটুন রাজাকার দিয়ে নিশ্ছিদ্র অবস্থান গড়ে তুলেছিল পাকিস্তানি  বাহিনী। কারণ মুক্তিবাহিনী যদি কোনোক্রমে সীমান্ত দিয়ে কামালপুর অতিক্রম করতে পারে, তবে ঢাকা পৌঁছাতে তাদের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদ ছাড়া কোনো বাধা নেই। সম্ভাব্য আক্রমণের কথা মাথায় রেখেই কামালপুর বিওপিতে ৮টি বাঙ্কারসহ বিওপির বহির্ভাগে স্থল মাইন, কাঁটাতারের বেড়া, বুবি ট্র্যাপ ও বাঁশের কঞ্চিসহ  দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল হানাদার বাহিনী।

কামালপুর যুদ্ধে হানাদারদের অবস্থান ছিল এখানেই। ছবি: সংগৃহীত

তা সত্ত্বেও ১২ জুন নায়েব সুবেদার সিরাজের নেতৃত্বে ১৫০ ইপিআর সেনা কামালপুর বিওপিতে আক্রমণ করে। যদিও তাতে তেমন ক্ষতি হয়নি হানাদারদের। জুলাই মাসে প্রথম, তৃতীয় ও অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের সমন্বয়ে জেড ফোর্স গঠিত হলে ৩টি ব্যাটেলিয়নকে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যার মধ্যে প্রথম ইস্ট বেঙ্গলকে দেওয়া হয় কামালপুর বিওপি দখলের নির্দেশনা।

আগেই ঠিক করা হয়, প্রথম ইস্ট বেঙ্গলের তথা আলফা কোম্পানির নেতৃত্ব দেবেন ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান। ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে থাকবে ব্রাভো (বি), লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ মান্নানের নেতৃত্বে থাকবে চার্লি (সি)। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ নেতৃত্ব দেবেন ডেল্টা কোম্পানির। যুদ্ধ তদারকি করবেন ব্যাটেলিয়ন অধিনায়ক মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী ও জেড ফোর্স কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান।

২৮ জুলাই বিকেলে তথ্য সংগ্রহের জন্য ছদ্মবেশে রেকি করেন ক্যাপ্টেন হাফিজের নেতৃত্বে একটি দল। এদিন রাতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আরেকটি দলও রেকি করতে বের হয়। কিন্তু তারা পাকিস্তানি লিসনিং পোস্টের কাছে আসতেই ২ পাকিস্তানি সেনা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে থামার নির্দেশ দেয়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করলে নিহত হয় হানাদার সেনারা।  

হানাদাররা তখন ধরে নেয়,  এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয়দের চোরাগুপ্তা হামলা। তৎক্ষণাৎ ঢাকা থেকে ছুটে যান জেনারেল নিয়াজী। নিয়াজীর নির্দেশেই দ্বিগুণ সেনা ও ব্যাপক অস্ত্র-গোলাবারুদ কামালপুরে পাঠানো হয়।

কামালপুর যুদ্ধে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

২ দফা রেকির পর ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৩টায় আক্রমণের সময় চূড়ান্ত করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় ব্রাভো ও ডেল্টা কোম্পানি সরাসরি আক্রমণ করবে। মাইলখানেক দূরবর্তী উঠানিপাড়ায় কাট-অফ-পার্টির দায়িত্ব থাকবে আলফা কোম্পানি, ফর্মিং-আপ-প্লেসে গাইড করবে চার্লি কোম্পানি। যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী আর্টিলারি সহায়তা দেবে।

৩০ জুলাই সূর্যাস্তের পর তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ পৌঁছান মুক্তিযোদ্ধারা। চেকআপ শেষে ভারতীয় আর্টিলারির সঙ্গে কথা বলে কামালপুরে রওনা হন তারা। কিন্তু তুমুল বৃষ্টিতে চলার গতি কমে যাওয়ায় এফইউপিতে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।

একটি ভুল বুঝাবুঝি ও আক্রমণ শুরু

রাত ঠিক সাড়ে ৩টাতেই ভারতীয় মাউন্টেন ব্যাটারি আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে মুক্তিযোদ্ধারা এফইউপি পজিশনে যেতে পারেননি। পরিকল্পনা ছিল ক্যাপ্টেন হাফিজ এফইউপিতে পৌঁছানোর পর সংকেত দিলে তবেই আর্টিলারি ফায়ার শুরু হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝিতে হানাদারদের যেমন চমকে দেওয়া সম্ভব হয়নি, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান টের পেয়ে পাল্টা আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে পাকিস্তানিরাও। ফলে মুহূর্তেই সদ্য ট্রেনিংপ্রাপ্ত সেনাদের মধ্যে তীব্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানিদের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষায় ভারতীয় আর্টিলারি ফায়ারে কোনো কাজ না হওয়ায় ব্রাভো ও ডেল্টা কোম্পানির পক্ষে হামলা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন বাধ্য হয়ে ব্রাভো কোম্পানি শত্রু বাঙ্কার অভিমুখেই আক্রমণ শুরু করে।

এমন সময় হঠাৎ ওয়্যারলেস বিকল হয়ে পড়লে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে সংকেত না দেওয়ায় থামছিল না ভারতীয় আর্টিলারি ফায়ারও। ২ পক্ষের তীব্র গোলাগুলির মধ্যে কেবল চিৎকারের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষাও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় আহত হন  কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা।

নানা প্রতিকূলতায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের গতি কিছুটা কমে যাওয়ায় ব্রাভো ও ডেল্টা কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা ভিন্ন পথ দিয়ে এফইউপিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ডেল্টা কোম্পানির কমান্ডার ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ অসামান্য নেতৃত্বের পরিচয় দেন। শত্রুদের বিভ্রান্ত করতে উর্দুতেই তিনি বলতে থাকেন, 'সবাই এখনই সারেন্ডার কর, নয়তো একজনকেও জীবিত ছাড়ব না।' একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে বলতে থাকেন 'ইয়াহিয়া খান এখনও এমন বুলেট তৈরি করতে পারেনি, যা মমতাজকে ভেদ করবে। যদি মরতেই হয় তবে এক পাকিস্তানি সেনাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার মাটিতে শহীদ হও।'

শহীদ ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম। ছবি: সংগৃহীত

কমান্ডারের অনুপ্রেরণায় বিপুল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়ান মুক্তিযোদ্ধারা। ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজের নেতৃত্বে ডেল্টা কোম্পানির ২০-২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা দুর্ধর্ষ কায়দায় প্রথম ডিফেন্স কর্ডন শেল প্রুফ বাঙ্কারে ঢুকে পড়েন। তখনই ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ দেখেন, পাকিস্তানি সেনারা সেকেন্ড লাইনে ফিরতি আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন মেগাফোনে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন সুবেদার হাইকে ২ দফা ডানদিকে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও শুনতে পাননি সুবেদার হাই। সুবেদার হাইয়ের প্লাটুনের ৪০ জনের মধ্যে তখন কেবল ১৫ জনই জীবিত ছিলেন।

হঠাৎ ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজকে বিপজ্জনক কায়দায় এগোতে দেখে সুবেদার হাই মেগাফোনে তাকে পিছু হটার অনুরোধ জানালেও ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ তার পরোয়া করেননি। এক পর্যায়ে হানাদারদের গুলি ও গোলা এসে পড়ে তার ওপর।

সহযোদ্ধারাতার দিকে এগোতে গেলে তিনি বললেন, 'খোদার কসম তোরা কেউ পিছে হটবি না। মরতে হয় তো পাকিস্তানিদের মেরে মর, বাংলাদেশের মাটিতে মর।'

এরপর শহীদ হলেন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ। ভোরের আলো তখন কেবল ফুটছে। তার মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলী ও সিরাজও শহীদ হলেন।

অন্যদিকে মর্টার শেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত ব্রাভো কোম্পানির কমান্ডার ক্যাপ্টেন হাফিজ ও চার্লি কোম্পানির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মান্নান। ফলে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে ৩টি কোম্পানিই।

কিন্তু এরপরও মুক্তিযোদ্ধারা অসীম বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তারা হানাদারদের বাঙ্কারে আঘাত হানতে থাকেন। কিন্তু হানাদারদের অবিরাম গোলাগুলিতে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেন।

কাট অফ পার্টির সাফল্য

কামালপুর ছেড়ে পাকিস্তানি বাহিনী যেন পালাতে না পারে এবং কামালপুরে যেন বহির্ভাগ থেকে সাহায্য না আসতে পারে তাই উঠানিপাড়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে আলফা কোম্পানি অ্যান্টি ট্যাংক মাইন স্থাপন করে রোড ব্লক করেছিল। রাত সাড়ে ৪টায় বকশীগঞ্জ থেকে আসা ২ ট্রাক সেনা কামালপুর যাওয়ার সময় উঠানীপাড়ায় মাইন বিস্ফোরণে ও মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় পড়ে। এ সময় ১০ জন হানাদার সেনা ও একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

যুদ্ধের সবশেষ ফলাফল

কামালপুরের প্রথম যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দিন আহম্মদসহ ৬৬ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। অন্যদিকে ৫০ জনেরও বেশি হানাদার সেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা কামালপুর বিওপি দখল করতে না পারলেও অবিস্মরণীয় সেই রাতে মুক্তিযোদ্ধারা অসীম আত্মত্যাগ আর বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে হানাদার বাহিনীকে প্রথমবারের মতো জানান দিয়েছিল, এখন কেবল গেরিলা যুদ্ধই নয়, সম্মুখ সমরেও দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত মুক্তিযোদ্ধারা।

কামালপুরের প্রথম যুদ্ধের বিবরণীর শেষভাগে হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীর বিক্রম লিখেছিলেন, 'সামান্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনভিজ্ঞ গ্রামীণ যুবকরা কামানের সাহায্য ছাড়াই মাইন ফিল্ড, কাঁটাতার ডিঙিয়ে প্রমত্ত ঢেউয়ের মতো এগিয়ে কীভাবে এই সুরক্ষিত ঘাঁটির কিছু অংশ দখল করেছিল। সে কথা ভেবে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়ি। একমাত্র গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ দৃঢ় মনোবলের অধিকারী, মৃত্যুঞ্জয়ী সুইসাইড স্কোয়াডের পক্ষেই এমনি আক্রমণে অংশগ্রহণ সম্ভব, যাদের কাছে জীবনমৃত্যু পায়ের ভৃত্য, চিত্ত ভাবনাহীন।'

তথ্যসূত্র:

রক্তে ভেজা একাত্তর- মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)

কামালপুর ১৯৭১: সম্পাদক মুহাম্মদ লুৎফল হক

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: দশম খণ্ড

Comments