‘বরিশালে নৌকা হেরে গেলে এর প্রভাব পড়বে সংসদ নির্বাচনে’

বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর সমর্থনে নগরীর বান্দ রোড এলাকায় যুবলীগের মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন শেখ ফজলে শামস পরশ ও মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ছবি: টিটু দাস

বরিশালে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচারণার আহ্বান জানিয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়ানো ছাড়া আর পথ নেই। এখানে নৌকা হেরে গেলে এর ঢেউ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাগবে। গাজীপুরে যা হয়েছে তা বরিশালে হতে দেওয়া যাবে না।

আজ মঙ্গলবার বরিশালে শিল্পকলা একাডেমিতে বরিশাল বিভাগের নেতাদের সঙ্গে সভা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। বরিশাল বিভাগ ছাড়াও মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের যুবলীগ নেতারাও সভায় অংশ নেন। কেন্দ্রীয় নেতারা কোন্দলের কারণে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তারা বলেন, সিটি নির্বাচনে নৌকার পরাজয় হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। নৌকার পরাজয় মানে শেখ হাসিনার পরাজয়। সবাইকে এই বিষয়টি বুঝতে হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, 'গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আমরা জনগণের ভোটে হারিনি। আমরা হেরেছি ষড়যন্ত্রের কাছে। গাজীপুরে আমরা একজন মেয়রকে হারিয়েছি, কিন্তু অনেক বেইমানকে চিনতে পেরেছি। বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমরা সেই অবস্থা হতে দিতে পারি না।'

যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, 'বরিশাল সিটি নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এটা এমন সময় পড়েছে যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৬ মাস বাকি। মান অভিমান ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করুন।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে যে দুই পক্ষের বিভেদের কথা বলা হয়েছে তা কাল্পনিক। কেননা দুই পক্ষই সেরনিয়াবাতের উত্তরসূরি। রক্ত কখনো আলাদা করা যায় না। এই কাল্পনিক বিভেদকে প্রশ্রয় দিলে আমাদের ক্ষতি হবে।'

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল অভিযোগ করে বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ব্যর্থতা সবচেয়ে বেশি। এখানে যদি নৌকা হেরে যায় তার ঢেউ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে। রক্তের বন্যা ছুটবে। আপনারা কি সেই সুযোগ দিতে চান?'

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, 'গাজীপুর থেকে তো কেউ শিক্ষা নেয় না। এখানে নির্বাচনে ৪০ দিন পেরিয়ে গেছে, অনেকরই সহযোগিতা পাই নাই।'

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

9h ago