জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি

গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। স্টার ফাইল ফটো

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রায় ঘোষণার দিন পেছালো। ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি একই আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিপক্ষের আরও যুক্তিতর্ক শুনানি করেন এবং রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

তার আগে, গত বছরের ২৮ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায়ের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

আদালত মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৪১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

একই আদালত ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের আদেশের সময় জি কে শামীম উপস্থিত থাকলেও তার মা অনুপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তবে, তদন্ত সংস্থা ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। জি কে শামীমের বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের রশিদ, নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ মার্কিন ও সিঙ্গাপুরি ডলার এবং কিছু বিদেশি মদ জব্দ করে র‌্যাব।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেক আদালত।

এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর একটি অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Stop destroying nature, plant trees instead of cutting: Yunus

Protecting the environment should be a citizen-led movement, he says

1h ago