চট্টগ্রামে রান্নার চুলায় গ্যাস সংকট, ভোগান্তি

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ছবিটি চট্টগ্রামের দক্ষিণ খুলসি এলাকা থেকে আজ শনিবার সকালে তোলা। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে শনিবার ভোর থেকে রান্নার চুলায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

একই কারণে নগরের বিভিন্ন সিএনজি পাম্পগুলোতেও গ্যাসের চাপ কম।

'সকালে ঘুম থেকে উঠে চুলা জ্বালিয়ে দেখি গ্যাস নেই। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমার ৩ বছর বয়সী বাচ্চার জন্য খাবার তৈরি করতে হবে। ওকে কী খাওয়াব বুঝতে পারছি না,' বলছিলেন চট্টগ্রামের আসকার দীঘির পাড় এলাকার বসিন্দা শুভেচ্ছা ঘোষ।

জামাল খান এলাকায় দেখা যায় সকাল ৮টায় বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের সামনে লোকজনের ভীড়। সবাই এসেছেন সকালের নাস্তা কিনতে।

রোমেল বড়ুয়া নামে এক ক্রেতা জানান, বাসার চুলায় গ্যাস না থাকায় ঘরে সকালের নাস্তা বানানো যাচ্ছে না, তাই তিনি রেস্টুরেন্ট থেকে পরোটা, মুগ ডাল আর চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাসার সবার জন্য।

মোমিন রোডের দস্তগির হোটেলে রুটি আর সবজি ভাজি কিনছিলেন হেম সেন লেন এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমেদ। তিনি বলেন, 'সকালের নাস্তা তো কিনে নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু দুপুরের খাবার কীভাবে রান্না হবে বুঝতে পারছি না। গ্যাস সরবরাহ কখন চালু হবে, তার খবর কেউ বলতে পারছে না।'

যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (মেইন্টেনেন্স) মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগরীতে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।

শুধু বাসাবাড়ি নয়, সিএনজি পাম্প ও শিল্প কারখানায়ও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন হচ্ছে একই কারণে, তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'এই অবস্থা আগামীকাল রোববার রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, তবে আমরা চেষ্টা করছি বিকল্প উৎস থেকে কিছু গ্যাস সংগ্রহ করে অন্তত বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবারহ স্বাভাবিক রাখতে।'

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক )ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশন) রইস উদ্দিন আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, 'চট্টগ্রামে গ্যাসের মোট দৈনিক চাহিদা ৩০০ এমএমসিএফটি এবং এর পুরোটাই সরবরাহ করা হয় এলএনজি টার্মিনাল থেকে।

জাতীয় গ্রিড থেকে কোনো গ্যাস চট্টগ্রামে সরবারাহ করা হয় না, তিনি বলেন, 'তবে এখন আমরা চেষ্টা করছি পেট্রোবাংলার সাথে কথা বলে জাতীয় গ্রিড থেকে কিছু গ্যাস নিতে, যাতে করে অন্তত ডমেস্টিক (বাসাবাড়ি) এর চাহিদা পূরণ করা যায়।'   

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago