এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ১ সপ্তাহ

ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল। ছবি: সামিট গ্রুপ

সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি (তরলীককৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালটি বঙ্গোপসাগরের মহেশখলী দ্বীপের অদূরে পৌঁছালেও তা নির্ধারিত সময়ে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে পারছে না। কারণ, সাগরে ভাসমান যে লাইনটি টার্মিনালের যুক্ত সেটির নিরাপত্তা রশি ছিঁড়ে সাগরের প্রায় ৩০ মিটার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

গতকাল রোববার এই সংযোগ লাইনটি ডুবরি দিয়ে তোলার চেষ্টা করা হলেও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিডেটের (আরপিজিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, 'সিঙ্গাপুরে মেরামত শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি গত ১০ জুলাই মহেশখালীর অদূরে বঙ্গোপসাগরে ফিরেছে। এরপর আমরা গ্যাস সরবরাহের জন্য সংযোগ লাইনটি স্থাপানের চেষ্টা করি। এ সময় সংযোগ লাইনের নিরাপত্তা রশি ছিঁড়ে সাগরে তলিয়ে যায়।'

নাছির উদ্দিন আরও বলেন, 'আমরা স্থানীয়ভাবে সাগরে ডুবুরি নামিয়ে চেষ্টা করে দেখেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ দল ডাকা হয়েছে। তারা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সংযোগ লাইনটি উদ্ধার করলে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালু করা যাবে।'

সিঙ্গাপুরে মেরামত শেষে সামিট গ্রুপের ভাসমান টার্মিনালটি বঙ্গোপসাগরে ফেরার পর আগামী ১৮ জুলাই থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনাটির জন্য এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অন্য ভাসমান টার্মিনাল 'এক্সিলেন্স' থেকে বর্তমানে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। সামিটের ভাসমান টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা যায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago