রাতের আঁধারে নদী ভরাটের অভিযোগ টিএমএসএসের বিরুদ্ধে, ৫ ট্রাক জব্দ

জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত

রাতের আঁধারে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে করতোয়া নদী ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) বিরুদ্ধে।

বগুড়া জেলা প্রশাসন মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ৫টি ট্রাক জব্দ করেছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল ইসলাম পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নিয়মিত মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার ভোররাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সদর উপজেলার টিএমএসএস বিনোদন পার্ক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।

অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল ইসলাম ৫টি ট্রাক জব্দ করার নির্দেশ দেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পানি উন্নয়ন বোর্ড চিঠি দিয়ে টিএমএসএসকে জানিয়েছে যে, নদীর সীমানা যৌথ পরিমাপ করা হচ্ছে। এই অবস্থায় নদীতে মাটি ফেলা যাবে না। নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা নদীতে মাটি ফেলে ভরাট করছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে ট্রাক ফেলে সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।'

'যেহেতু নিষেধ করা সত্ত্বেও নদীর প্রবাহ বন্ধ করে মাটি ভরাট করছিল, সেই জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে টিএমএসএস-এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,' যোগ করেন নুরুল ইসলাম।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাটিগুলো আমরা কিনে নিয়ে সেখানে ফেলছিলাম। ট্রাকগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের, আমাদের নয়।'

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নদীতে মাটি ফেলে ভরাট করার অভিযোগে ট্রাকগুলো জব্দ করা হয়েছে—এই প্রসঙ্গে হোসনে আরা বলেন, 'যে জায়গায় মাটি ফেলা হচ্ছে সেটা ইতোমধ্যে যৌথ জরিপে চূড়ান্ত হয়েছে। এই বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের চিঠিও দিয়েছি, তার পরে মাটি কাটছি।'

গভীর রাতে কেন মাটি ফেলছেন জানতে চাইলে হোসনে আরা বলেন, 'আমরা যাদের থেকে মাটি কিনেছি তারা রাতেই মাটি সরবরাহ করে।'

বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সারাদিন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। মামলার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

যোগাযোগ করা হলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাকগুলো উপজেলা পরিষদে রাখা হয়েছে। জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামলা করবেন।'

তবে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত (আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত) কোনো মামলা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago