মুচলেকা দিয়ে আবারো নদী ভরাট, টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর তীরঘেঁষে রাস্তার নির্মাণ কাজ সীমানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে মুচলেকা দিয়েছিল ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস)।

মাটি ফেলে নতুন করে করতোয়া নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করায় সংস্থাটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

সেই রায় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন টিএমএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক হোসনে-আরা বেগম।

আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করলে টিএমএসএস-এর সিনিয়র জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক নজিবুর রহমানকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারা ভোগ করতে হবে।

সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন হোসনে-আরা। রায় ঘোষণার সময় হোসনে-আরা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রযোজ্য নয়। এই শাস্তিও প্রযোজ্য নয়। এই রায় এখানে হতে পারে না।

ফিরোজা পারভীন বলেন, 'আজ পানি উন্নয়ন বোর্ড, টিএমএসএস এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা যৌথ নদী জরিপ চালিয়েছেন। এর আগে আমি এসে দেখেছি যে, করতোয়া নদীর মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। সেদিন টিএমএসএস দাবি করেছিল যে, সেটা তাদের জায়গা। ওই দিন টিএমএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক মুচলেকা দিয়ে যান যে, এখানে সীমানা নির্ধারণের আগে আর কাজ করা হবে না।'

'আজ আমি এসে দেখি এখানে আজও নদীর ভেতরে ময়লা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। নদীর ভেতর মাটি ফেলে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে আইন অনুযায়ী এই রায় দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'পরিবেশ সংরক্ষণের জলাধার সংক্রান্ত একটি আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী—কেউ জলাধার বা নদীরপ্রবাহ বন্ধ করতে পারবে না। সেই জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Import-export activities halted at Ctg Custom House amid NBR officials' shutdown

The suspension has caused immense sufferings to service seekers, while apparel exporters fear significant financial losses due to shipment delays

24m ago