পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি: মহালয়া উপলক্ষে পূণ্যার্থীদের নিয়ে যাচ্ছিল নৌকাটি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের। মহালয়া উপলক্ষে একটি ধর্মসভায় যোগ দিতে উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন তারা।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিহত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনই হিন্দু। একজন মুসলিম। তারা বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের ১২ জন নারী, ৪ জন পুরুষ এবং ৮ শিশু।
আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করার কয়েক মিনিটের মধ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ডুবে যায়। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। বোদা, পঞ্চগড় ও আটোয়ারী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট নৌকা নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ২০ জন বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এই ঘটনায় কেউ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যায়নি।
নৌকাডুবির পর আউলিয়া ঘাট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম উদ্ধার কাজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক (৪০) বালু তোলার কাজে ব্যবহার করা নৌকা নিয়ে উদ্ধারে নামেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী উঠেছিলেন। সেটির ধারণ ক্ষমতা ৭০-৭৫ জন হলেও যাত্রী উঠেছিলেন একশর বেশি। ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করার পর ৫০-৬০ ফুট এগিয়ে গিয়েই নৌকাটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
নিহতরা হলেন- দীপংকর (৩), প্রিয়ন্ত (২.৫), শ্রেয়সী (৩), তনুশ্রী (৫), প্রিয়ন্তী (৫), উশশী (৩), শ্যামলী (১৪), লক্ষী রানী (২৫), শোভা রানী (২৭), খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫), তারা রানি (২০), শোনেকা রানী (৬০), ফাল্গুনি রানি (৫৫), প্রমিলা (৭০), ধনোবালা (৪৭), সুমিত্রা রানী (৫৭), সফলতা রানী (৪০), শ্যামলী বালা (৩৬), অমল চন্দ্র (৩৫), বিলাস চন্দ্র (৫০), হাসান আলী (৭০)/ মাঝি/ইজারাদার।
এ ছাড়া ৪০ ও ৩ বছর বয়সী দুজনের মরদেহ তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি।
Comments